পুরসভার পরে এ বার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতেও দখল হারাল বামেরা। রবিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএম ছেড়ে ছয় সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।
সোমবার মিছিল করে সবুজ আবির খেলে সভাপতি এবং সহ সভাপতিকে নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি দফতরে যান তৃণমূল সমর্থকেরা। কোচবিহার জেলার ১২টি পঞ্চায়েত সমিতি। মেখলিগঞ্জ নিয়ে ১০টিই দখল করে নিল তৃণমূল। শুধু কোচবিহার ২ পঞ্চায়েত সমিতি আর হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি বামেদের দখলে রয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, কাউকে ভয় দেখিয়ে, কিছু পাইয়ে দেওয়ার টোপে দলে টেনেছে তৃণমূল।
মেখলিগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে অনেকেই বামেদের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। তাঁরা তৃণমূলে সামিল হয়েছেন। আগামীতে আরও অনেকে তৃণমূলে আসবেন। আমরা মেখলিগঞ্জের উন্নয়ন সামনে রেখে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা করব।”
সিপিএমের মেখলিগঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক অনিরুদ্ধ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “বামফ্রন্ট ছেড়ে পাঁচ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “চার দিকে যে সন্ত্রাস চলছে তাতে অনেকেই ভীত। তা ছাড়া অনেককে লোভ দেখিয়ে শাসক দল টেনে নিয়েছে।” ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ সিপিএম কাউন্সিলরদের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “সিপিএমের কাউন্সিলররা ফরওয়ার্ড ব্লক সভাপতি সহ দুই জনকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছে। বিশদ খোঁজ নিচ্ছি।”
২১ আসন বিশিষ্ট পুরসভায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লক ১১টি, সিপিএম ৪টি, তৃণমূল ৫টি এবং কংগ্রেস ১টি আসন দখল করে। ফরওয়ার্ড ব্লকের বর্ণালী রায় সভাপতি হন এবং সিপিএমের সত্যেন দেও সহ সভাপতি হন। তৃণমূলের দাবি, ওই ৪ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১১। তৃণমূল নেতারা দাবি করেন, সভাপতি, সহ সভাপতি বদল করা হবে না। এক মাস পরে কর্মাধ্যক্ষ বদল হবে।
ক’মাস আগে মেখলিগঞ্জ পুরসভা বামেদের থেকে একই ভাবে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। সে সময় ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক পরেশ অধিকারী অভিযোগ করেন শাসকদল কাউন্সিলর কেনাবেচা করছে। এ বারে তিনি বিধানসভার অধিবেশনে কলকাতায়। তিনি বলেন, “বিষয়টি পরিষ্কার জানি না। মানুষ যে আমাদের সঙ্গে পঞ্চায়েত, পুরসভা নির্বাচনে তা প্রমাণিত। লোকসভাতেও সন্ত্রাস চালিয়েও খুব সুবিধে করতে পারেনি শাসক দল।” তবে গত এক সপ্তাহে কোচবিহার ১ ব্লকে বামফ্রন্টের ১০ সদস্য এবং ফব নেতা সুবল কর তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। তুফানগঞ্জের নেতা ফজলে করিম দাবি করেন, বালাভূতে তিন শতাধিক বাম কর্মী সম্প্রতি শাসক দলে যোগ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy