সিপিএমের সঙ্গ ছেড়ে এবার ‘একলা চলো’র দাবি উঠল ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্দরে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের দিনহাটায় লোকসভা ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ডাকা কর্মী কনভেনশনে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সামনে ওই দাবি তুলে সরব হলেন নেতা-কর্মীদের একাংশ। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় একা লড়ে তুলনামুলক ভাল ফলের উদাহরণ তুলে ধরেন দলের কিছু নেতা। শুধু তাই নয়, সাধারণ কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা রুখতে দলের নেতারা ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলে কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কয়েকজন বিজেপিতে সামিল হওয়ার হুমকিও দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান দলের জেলা এবং রাজ্য নেতারাও।
এ দিন দিনহাটার নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতি সদনে আয়োজিত ওই কর্মী কনভেনশনে দলের রাজ্য নেতা নরেন দে, জয়ন্ত রায়, উদয়ন গুহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই লোকসভা আসন হাতছাড়া হওয়ায় সিপিএমের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কর্মীদের একাংশ। তাদের দাবি, মানুষ সিপিএমকে মেনে নিতে পারছেন না। তার খেসারত দিতে হয়েছে দলের কোচবিহারের প্রার্থীকে। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সার্বিক বাম ঐক্যের ডাক দিয়ে সিপিএমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মাসুল গুনতে হয়েছে বলে ওই নেতারা কনভেনশনে দাবি করেছেন। দলের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ অবশ্য বলেন, “মোট ৩২ জন নেতা-কর্মী বক্তব্য রেখেছেন। সকলের কথাই রাজ্য নেতৃত্ব শুনেছেন। তারাই পুরো বিষয়টি আলোচনা করবেন। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
কনভেনশনে একাংশ নেতা-কর্মী দাবি করেন, ২০০৮ সালে একক ভাবে লড়াই করে ফরওয়ার্ড ব্লক জেলার তিনশতাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়। গত পঞ্চায়েতে তা এক ধাক্কায় একশোর বেশি কমে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ বিষয়ে সিপিএম নেতারাও মুখ খুলতে চাননি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “ওই বিষয়ে ফ্রন্টে কোনও আলোচনা হয়নি। ফলে মন্তব্য করতে পারব না”
দলের এক জেলা নেতচা জানিয়েছে, এদিন কর্মীদের একাংশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ মোকাবিলায় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিজেপিতে সামিল হওয়ার হুমকির কথাও প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন। নেতা কর্মীদের দাবি, বিরোধী আসনে থাকায় তাঁদের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy