বেআইনিভাবে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে পুলিশের একাংশের মদতে ভুটভুটি চালকেরা যাত্রী তুলছেন বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিককে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে রায়গঞ্জ থেকে ভরতপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ও ট্রেকার ধর্মঘট শুরু করলেন উত্তর দিনাজপুর যাত্রী পরিবহণ যৌথ মালিক সমিতি।
ওই রুটে বাস ও ট্রেকার ধর্মঘটের জেরে হয়রানির শিকার হন রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, সমাসপুর ও বিষ্ণুপুর এলাকার কয়েকশো যাত্রী। অনেকেই গাঁদাগাদি করে সরকারি বাস ও ভুটভুটিতে চেপে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে বাধ্য হন। সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক প্লাবন প্রামানিক জানান, পুলিশের একাংশের মদতে গত তিনমাস ধরে বেআইনিভাবে হেমতাবাদ বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের তুলে ভরতপুর, বাঙালবাড়ি ও কালিয়াগঞ্জ রুটে চলাচল করছে শতাধিক ভুটভুটি। আজ, শুক্রবারের মধ্যে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর ব্যবস্থা না নিলে কাল, শনিবার থেকে সমিতির তরফে রায়গঞ্জ থেকে কালিয়াগঞ্জ ও বাঙালবাড়ি রুটেও অনির্দিষ্ট বাস ও ট্রেকার ধর্মঘট করা হবে। তাতেও লাভ না হলে আগামী মঙ্গলবার থেকে জেলাজুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটেরও হুমকি দিয়েছেন সমিতির সদস্যরা।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক পালদেন ভুটিয়া বলেন, “ভুটভুটি চালক ও সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা চলছে।” সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক বিজয় ঘোষের দাবি, “শতাধিক ভুটভুটি প্রতিদিন হেমতাবাদ বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কম ভাড়ায় বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের তোলে। সে কারণে বাস ও ট্রেকারে যাত্রীরা উঠতে চাইছেন না। আমরা লোকসানে পড়ছি।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মোটরভ্যান চালক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি সনাতন দত্তের দাবি, “পুলিশের চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গা থেকেই সমস্ত ভুটভুটি দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের তোলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy