মিছিল করে ছিটমহলের বাসিন্দারা বিএসএফ ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছেন। হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।
ছিটমহলে ঢুকে দুই বাসিন্দাকে মারধর করার অভিযোগে বিএসএফের বর্ডার আউট পোস্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাল ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় কমিটি।
শুক্রবার দুপুরে দিনহাটা থানার নাজিরহাট সংলগ্ন মশালডাঙ্গা থেকে মিছিল করে তারা দিঘলটারি বিএসএফ ক্যাম্পে যান। ক্যাম্পের সামনে ওই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। কমিটির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত ক্যাম্পে গিয়ে ১৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার রাজেশ কুমারকে স্মারকলিপি দেন। ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দীপ্তিমান বাবু বলেন, “ছিটমহল বিনিময় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। সংসদেও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় সীমান্তে এসে ছিটমহল বিনিময়ে উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। এই সময় বিএসএফের কয়েকজন জওয়ান প্রশাসন, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কিছু না জানিয়ে কেন ছিটমহলে ঢুকে বাসিন্দাদের মারধর করলেন?” তিনি ওই জওয়ানদের শাস্তির দাবি করেন। পাশাপাশি যারা বিএসএফকে ভুল তথ্য দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার সরাসরি কিছু বলতে চাননি। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়,একটি পারিবারিক গণ্ডগোলের জেরে কিছু মহিলা বিএসএফ ক্যাম্প গিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর বিএসএফ সেখানে গেলেও কাউকে মারধর করেনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে দিঘলটারির কচুয়া ছিটমহলে একটি পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। তারই জেরে শুরু হয় সংঘর্ষ। এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারেকের অভিযোগ, জোর করে জমি দখলের জন্য তাঁর ভাই কয়েকজনকে নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। পরে বিএসএফ গিয়েও তাঁদের মারধর করে। বিএসএফের মারে জখম হন তাঁর ছেলে রফিকুল ইসলাম। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আব্দুল বারেকের বিরুদ্ধেও আবার পাল্টা জমি দখল ও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ভাইয়েরা। ঘটনার পর ছিটমহল বিনিময় কমিটি বিষয়টি দিনহাটার মহকুমাশাসক এবং পুলিশ কর্তাদের জানায়। এর পরই আন্দোলনের ডাক দেয় তারা। এদিন বিভিন্ন ছিটমহলের বাসিন্দাদের নিয়ে মিছিল করা হয়। বাসিন্দারা বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে বিএসএফ সেখানে যেতেই পারে। কিন্তু তাঁর আগে পুলিশ, পঞ্চায়েতকে জানিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কেউ কিছু জানল না কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা ছিটমহলে ঢুকে মারধর করল এটা মানা যায়না।” ছিটমহল বিনিময় কমিটির নেতা দীপ্তিমান বাবু বলেন, “ছিটমহল বিনিময় নিয়ে সরকারি তরফে কথাবার্তা যখন অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএসএফের এমন ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy