এক সোনার ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে পালানোর সময় গণধোলাইয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ইসলামপুর থানা এলাকার জকতাগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জকতাগাঁও বাজার এলাকায় সোনার ব্যবসায়ী বিষ্ণুমোহন সিংহর বাড়ি । বাড়ির সামনের একটা অংশেই তাঁর দোকান রয়েছে। এ দিন রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় অন্তত ১২ জনের একটি ডাকাত দল। ডাকাতি করে পালানোর সময় এলাকার বাসিন্দারা টের পেয়ে তাদের তাড়া করে। বেগতিক দেখে গুলি এবং বোমা ছুঁড়তে শুরু করে ডাকাতরা। তাতে অনেকে ভয় পেলেও প্রায় শতাধিক বাসিন্দা বিভিন্ন দিক থেকে তাদের তাড়া করেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রতুয়া নদী। নদী পেরিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী গা ঢাকা দেয় ওপারে থিকিডাঙি এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দারাও টের পেয়ে তাদের তাড়া করলে দলটি বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে পালাতে থাকে। তবে নদী পার হওয়ার আগেই এপারের বাসিন্দারা কয়েকজনকে ধরে ফেলেন। এর পরেই উত্তেজিত জনতা বেধড়ক পেটাতে শুরু করে ধৃত দুষ্কৃতীদের। তাতে দুই দুষ্কৃতী মারা যায়। পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। জনতার মারে দু’জন ডাকাত মারা গিয়েছে বলে খবর পেয়েছি।”
দুষ্কৃতীদলটি সোনার ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে গয়না, নগদ টাকা নিয়ে পালাচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যে এলাকায় ঘটনা সেখান থেকে সাত কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত । ডাকাত দলটি সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিল কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুজোর মুখে রাত সাড়ে আটটার সময় বাজার এলাকায় রীতিমত ভিড় থাকে। অথচ তার মধ্যেই ডাকাত দলের হামলা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার ব্যবসায়ীরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁরা। ব্যবসায়ীরা জানান, পুজোর জন্য সোনার দোকান ও কাপড়ের দোকানগুলিতে কেনাকেটার হিড়িক পরে। দোকানগুলিতে কারবারের নগদ টাকা জমে। তাই নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক দামোদর অগ্রবাল বলেন, “পুজোর মুখে এলাকায় পুলিশের ন্যুনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাতেই দুষ্কৃতীরা ওই সময় হানা দেওয়ার সাহস পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে রয়েছেন।”