বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করায় ফরওয়ার্ড ব্লকের এক সমর্থকের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকার ঘটনা। শুক্রবার ওই পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। বুড়িরহাট এলাকাতে ওই দিন প্রচার সেরে ফেরার পথে দলের আরও এক নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের ফোন করে অভিযোগ জানান দিনহাটার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “খোঁজ নিচ্ছি।”
ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, ভোট যত এগিয়ে আসছে, কোচবিহারের নানা এলাকায় শাসক দলের সন্ত্রাস বাড়ছে। তার মধ্যে দিনহাটার বুড়িরহাট, নাজিরহাট, শুকারুরকুঠির মত এলাকা রয়েছে। বুড়িরহাট এলাকায় গতিকচুয়ার বাসিন্দা খোকন বর্মনের বাড়িতে ঢুকে বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কর্মীদের ঘরে দরজা ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে খোকনবাবুর দুই ছেলে, স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। ওই দিন বুড়িরহাট এলাকাতেও প্রচার সেরে ফেরার পথে দিনহাটা ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি বীরেন রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “বুড়ির হাটে তৃণমূল লাগামহীন সন্ত্রাস করছে। দলের হয়ে প্রচার করায় আমাদের সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর, পরিবারের লোকদের মারধর করা হচ্ছে। আরও এক নেতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সব ঘটনা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি। আগেও নানা অভিযোগ করেছি, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ভাবে চললে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।” ফরওয়ার্ড ব্লক দিনহাটা জোনাল সম্পাদকমন্ডলীসদস্য বিশু ধরের অভিযোগ, “‘তৃণমূলের নিষেধ উপেক্ষা করে প্রচারে সামিল হওয়া, ব্যানার, ঝান্ডা লাগানর কাজ করায় পরিবারটি রোষের মুখে পড়েছে। মারধর, ভাঙচুরের পরে তাঁদের এক জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন।” তৃণমূল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। রুটিন করে নির্বাচন কমিশনে সাজানো অভিযোগ পাঠিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা প্রচারে থাকতে চাইছেন।”