তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার আইনজীবী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ছেলে ঋতব্রত। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই ওই সিদ্ধান্ত বলে দলীয় সূত্রে খবর। আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের চাপে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা। এদিন ঋতব্রত বাবুর ইস্তফার পর হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি। আইনজীবী হিসেবে ঋতব্রত চক্রবর্তীর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে অনড় ছিলেন দলের ১৩ জন কাউন্সিলর। তাঁদের কাছে গত শুক্রবার দুদিনের সময় চেয়েছিলেন চেয়ারপার্সন। এ দিন বিকেলে বালুরঘাট পুরভবনে ডাকা বৈঠকে দলের ১৩ জন কাউন্সিলরকে মন্ত্রিপুত্রের ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন চয়নিকা লাহা। পরে চয়নিকা দেবী বলেন,“পরিচিত কেউ পুরসভার আইনজীবী হোক সেটাই চেয়েছিলাম। ওই পদ থেকে ঋতব্রতবাবু নিজেই ইস্তফা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তা গ্রহণ করে বৈঠকে দলের কাউন্সিলরদের জানিয়েছি।”
ঋতব্রতবাবু বলেন, “পুরকর্তৃপক্ষ আমাকে আইনজীবী পদে বহালের প্রস্তাব দিলে আমি তা নিয়েছিলাম। কিন্তু তা নিয়ে অযথা বিতর্ক শুরু হয়। আইনজীবী হিসাবে গত দশ বছর ধরে উত্তরবঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কাজ করছি। অসম্মানের পরিবেশে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই পুরসভার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।” চেয়ারপার্সনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, “বৈঠকে চেয়ারপার্সন আইনজীবীর পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান। ওই আইনজীবী নিয়োগ সকলকে জানিয়ে হয়নি বলেই এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভবিষ্যতে চেয়ারপার্সন দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে সব সিদ্ধান্ত নেবেন, এটাই আশা করব।” ৫ জুলাই পুরসভার আইনজীবী হিসাবে রাজ্যের মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ছেলে ঋতব্রত চক্রবর্তীকে নিয়োগ করেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy