Advertisement
২২ মে ২০২৪

বেহাল জাতীয় সড়কে দুর্ভোগ চাঁচলে

বেহাল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল দেড় বছর আগে। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিনেও সড়ক সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় মালদহের চাঁচল মহকুমা জুড়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গাজোলের কদুবাড়ি থেকে চাঁচল হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে এতটাই বেহাল যে সামান্য বৃষ্টি হলেই তা জলায় পরিণত হওয়ায় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক। সামসি বাসস্ট্যান্ড এলাকা।

৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক। সামসি বাসস্ট্যান্ড এলাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৪ ০১:২৮
Share: Save:

বেহাল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল দেড় বছর আগে। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিনেও সড়ক সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় মালদহের চাঁচল মহকুমা জুড়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গাজোলের কদুবাড়ি থেকে চাঁচল হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে এতটাই বেহাল যে সামান্য বৃষ্টি হলেই তা জলায় পরিণত হওয়ায় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

বেহাল জাতীয় সড়কের সংস্কারের বরাদ্দের দাবিতে একসময় কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। তার পর সড়ক সংস্কারে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দও মিলেছে। বরাদ্দের পরেও কেন দীর্ঘ দিন সড়ক সংস্কার হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংসদ বলেছেন, “সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত যাতে কাজ হয় তা দেখতে বলেছি। টেন্ডার ডাকা হয়েছে বলে আধিকারিকেরা জানান।”

সরকারি সূত্রের খবর, এই জাতীয় সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে আছে রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের টাকায় তাঁরাই রাস্তার কাজ শুরু করেন। পূর্ত দফতরের ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ জেলার কয়েক জন আধিকারিক জানান প্রথমে অর্থাভাবে কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। আপাতত জিরো পয়েন্ট থেকে ২৩ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া করে সংস্কারের জন্য ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ মিলেছে। বাকি অংশের রক্ষণাবেক্ষণের টাকা চাওয়া হয়েছে। তা পেলেই কাজ হবে। বাসিন্দারা জানান, ২০১১ সাল থেকেই গাজলের কদুবাড়ি থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্য়ন্ত জাতীয় সড়কের ৫৩ কিলোমিটার বেহাল হয়ে পড়ে!

চাঁচলের জিয়াগাছিতে।

বেহাল সড়ক সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার অবরোধ করে বিক্ষোভ-আন্দোলনের পর দেড় বছর আগে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে চাঁচল পর্যন্ত রাস্তা নতুন করে তৈরি হলেও মাঝে ৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পুরোপুরি হয়নি। শুধু একটি পিচের স্তর দিয়ে তা চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়। আবার কনুয়ায় ৫০ মিটার রাস্তার কোনও সংস্কার করা হয়নি। চাঁচল থেকে সামসি পর্য়ন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও মাঝে দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সামসি থেকে মাগুড়া পর্যন্ত সংস্কার করা হলেও সামসি এলাকায় ১৫০ মিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় তাও সামান্য বৃষ্টি হলে জলাশয়ে পরিণত হয়। সামসি থেকে মাগুড়া পর্য়ন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার হলেও মাগুড়া থেকে কদুবাড়ি পর্য়ন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা বেহালই রয়েছে। চাঁচল থেকে মালদহ যেতে দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগছে।

কদুবাড়ি চাঁন্দুয়া দামাইপুর ২৩ কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৯০ কোটি টাকা মিলেছে। ওই রাস্তা ১০ মিটার চওড়া হবে। গাজল-সামসির মধ্যে বসবে টোল প্লাজাও। টেন্ডারও হয়েছে। ওই কাজ শুরু হওয়ার আগে বেহাল অংশগুলির সংস্কার করা হবে।

ছবি: বাপি মজুমদার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Woe to the national road at chachal chanchal NH81
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE