বাড়িতে ঘুমের মধ্যে এক সিটু নেতাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার টাউন স্টেশন লাগোয়া এলাকার এই ঘটনায় মারা যান নাম গোপাল কুঁড়ি (৪০)। তিনি সিটুর রেলওয়ে চুক্তিভিক্তিক শ্রমিক ইউনিয়নের কোচবিহার শাখার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
এ দিন সকালে এক দুষ্কৃতী আচমকা গোপালবাবুর শোওয়ার ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। তাঁর আর্তচিত্কার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। ততক্ষণে ওই দুষ্কৃতী দৌড়ে এলাকা ছেড়ে পালানিয়ে যায় বলে অভিযোগ।জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, “খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। ঘটনায় অভিযুক্ত সিকন্দর নামে ওই দুষ্কৃতীর খোঁজ চলছে।” সিপিএমের তরফে ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ থাকার সম্ভাবনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুপুরে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সিপিএম ও সিটু সমর্থকরা কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় বিক্ষোভ দেখান।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সাত সকালে কোচবিহার গাঁধী কলোনির বাসিন্দা ওই যুবকগোপালবাবুর বাড়িতে হাজির হয়। বাড়ির সামনে সে গোপালবাবুর নাম ধরে ডাকাডাকি করে। গোপালবাবুর পরিবারের লোকেরা তাকে পরে আসতে বলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক সে ওই বাড়ির সামনে রাস্তায় অপেক্ষা করে বলে জানা গিয়েছে। সাতটা নাগাদ বারান্দার গ্রিল খোলা দেখে সে সরাসরি গোপালবাবুর শোওয়ার ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। নিহতের স্ত্রী রত্নাদেবী বলেন, “ওই যুবক আগেও বাড়িতে এসেছিল। ওর সঙ্গে স্বামীর কোন বিরোধ ছিল বলে জানতাম না।”
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক সপ্তাহ দু’য়েক আগে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে জেলে বন্দি থাকার পর জামিনে ছাড়া পায়। ফিরে এসে সে কোচবিহার স্টেশনে অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কাজ হারায়। ওই কাজ হারানো নিয়ে কোনও আক্রোশ কিংবা অন্য কোন ক্ষোভের জেরে সে ওই খুন করেছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তারিণী রায় বলেন, “গোপালের সক্রিয়তার জন্য তৃণমূল সেভাবে পাল্টা সংগঠন গড়তে পারছিল না। এজন্য ওকে আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাই তৃণমূলের মদত থাকা নিয়ে সন্দেহ বেড়েছে। এটি রাজনৈতিক খুন বলেই মনে হচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। এটা রাজনৈতিক কোনও বিষয় নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy