Advertisement
E-Paper

বন্ধ চা বাগান খুলতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি

উত্তরবঙ্গের ছ’টি বন্ধ চা বাগান খোলার বিষয়ে কেন্দ্রকেও পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় বাগিচা আইন মেনে পরিচালিত হয়, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ ছাড়া চা বাগান খোলা সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রকে চিঠিতে জানিয়েছে রাজ্য। বুধবার দার্জিলিং যাওয়ার মুখে বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান। তিনি বলেন, “বন্ধ বাগান খোলার চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই মঙ্গলবার কেন্দ্রকে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি।”

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৩
দার্জিলিং রওনা হওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দর চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

দার্জিলিং রওনা হওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দর চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

উত্তরবঙ্গের ছ’টি বন্ধ চা বাগান খোলার বিষয়ে কেন্দ্রকেও পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় বাগিচা আইন মেনে পরিচালিত হয়, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ ছাড়া চা বাগান খোলা সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রকে চিঠিতে জানিয়েছে রাজ্য। বুধবার দার্জিলিং যাওয়ার মুখে বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান। তিনি বলেন, “বন্ধ বাগান খোলার চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই মঙ্গলবার কেন্দ্রকে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের একশো দিনের কাজ দেওয়ার জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের পুনর্বাসন করতেও রাজ্য সরকার উদ্যোগী। পঞ্চায়েত দফতরের বেশ কিছু প্রকল্প বন্ধ বাগানে চলবে। তিনি জানান, বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। বাড়তি তিনশো জনকে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে। চা বাগানের বাসিন্দাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতি মাসে বন্ধ বাগানে পরিদর্শন করবেন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সোমবার ঢেকলাপাড়া ও বান্দাপানি চা বাগান পরিদর্শন করতে এসে শ্রমিকদের এ কথা জানান জ্যোতিপ্রিয়বাবু নিজেই।

এ দিন বাগডোগরায় নেমে মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন, আজ বৃহস্পতিবার তামাঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হতে পারে। বিমানবন্দরে তামাঙ্গ ইয়ুথ অ্যসোসিয়েশের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে খাদা পরিয়ে স্বাগত জানানোর পরে মমতা বলেন, “আপনাদের বোর্ডের কাজ আগামী কাল হয়ে যাবে।”

বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দার্জিলিঙের পথে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর আগেই এ দিন বৃষ্টি শুরু হয়। রোহিণী দিয়ে কার্শিয়াঙের রাস্তায় যখন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাচ্ছে, তখন রাস্তায় ঘন কুয়াশা। তাই দার্জিলিঙের ম্যালের অনুষ্ঠান মঞ্চ ছাউনি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের ডিজি থেকে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের সচিব রয়েছেন। রয়েছেন পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও।

তবে এ দিন বিকাল পর্যন্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান চিফ বিমল গুরুঙ্গের কাছে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়নি বলে জিটিএ সূত্রের খবর। জেলাশাসক অবশ্য বলেছেন, “জিটিও চিফ ও বাকি সদস্যের আমন্ত্রণপত্র পাঠাচ্ছি।”

mamta tea garden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy