অভিনয়ের সময়ে চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ‘ধুরন্ধর’ ছবির চরিত্রের মধ্যে। তাই সমাজমাধ্যমেও এই ‘ধুরন্ধর’ সংক্রান্ত ছবি ছাড়া আর কিছু নেই। বক্স অফিসে সফল এই ছবি। দেশে ৩০০ কোটি টাকার সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছে এর ব্যবসা। নিজের নজির নিজেই ভেঙেছেন রণবীর। ভবিষ্যতে আরও বড় তারকা হয়ে উঠবেন তিনি, প্রত্যাশা অনুরাগীদের। প্রশ্ন উঠছে তারকার সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও।
২৮০ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয়েছে এই ছবি। লম্বা চুল, রক্তচক্ষু ও ধূসর পোশাক। এই বেশে দেখা গিয়েছে রণবীর সিংহকে। তিনি এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকার আশপাশে পারিশ্রমিক নিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও রণবীরের বহু ছবি বক্স অফিসে সফল। সেই তালিকায় রয়েছে ‘পদ্মাবৎ’, ‘সিম্বা’, ‘গল্লি বয়’, ‘৮৩’, ‘বাজিরাও মস্তানি’। জানা যায়, বর্তমানে রণবীর ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
আরও পড়ুন:
ছবিতে অভিনয় করার জন্য ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকার মধ্যে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন রণবীর। অভিনয় ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মুখ তিনি। ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য ৩-৪ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন, আর সমাজমাধ্যমে কোনও ব্র্যান্ডের হয়ে একটি পোস্ট করতে রণবীর নেন ৮০ লক্ষ টাকা। বলিউডে ধনী অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
জমি-বাড়িতেও বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। মুম্বইয়ের ওয়ার্লিতে রয়েছে একটি পাঁচ কামরার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, যার দাম ৪০ কোটি টাকা। বান্দ্রায় সমুদ্রমুখী একটি বাড়ি রয়েছে রণবীরের, যার দাম ১১৯ কোটি টাকা। এ ছাড়াও আলিবাগেও রয়েছে ‘ধুরন্ধর’ অভিনেতার একটি বাড়ি, যেটির দাম ২২ কোটি টাকা। শুধু বাড়ি নয়। রণবীরের গাড়ির সম্ভারও চোখে পড়ার মতো। রেঞ্জ রোভার, অ্যাস্টন মার্টিন থেকে শুরু করে জাগুয়ার, মার্সিডিজ় বেঞ্জ, ল্যাম্বরগিনি রয়েছে তাঁর গ্যারাজে। নিজের ৮০ লক্ষ টাকার একটি ভ্যানিটি ভ্যানও রয়েছে। চারচাকার পাশাপাশি বাইকেও আগ্রহী রণবীর। ৭ লক্ষ টাকার একটি ভিন্টেজ বাইকও রয়েছে তারকার।