বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
মানিকগঞ্জ থেকে সাতকুড়া যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল পড়ে রয়েছে।
দক্ষিণ বেরুবাড়ি এলাকার ওই রাস্তাটির সংস্কারের জন্য বহু দিন ধরে দাবি করে আসছেন এলাকার বাসিন্দারা। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় ওই এলাকার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ ও বিএসএফ জওয়ানদের। অথচ রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা রাস্তা। দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা মালপাহাড়ি বলেন, “বহু দিন ধরে রাস্তাটি খারাপ। আমরা সাধ্যমত নদীর বালি পাথর দিয়ে গর্ত বোজানোর চেষ্টা করি। সাময়িক ভাবে তা ভরাট হলেও বেশি দিন টেকে না। জেলা পরিষদে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
বাসিন্দাদের বক্তব্য, বিএসএফের ট্রাক ও ভারী যানবাহন চলাচল করার ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি খারাপ হয়ে যায়। কোনও রকমে বালি পাথর ভরে জোড়াতাপি দিয়ে রাস্তা সারাই করতে হয়। জেলা পরিষদের তরফে রাস্তা সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সারদাপ্রসাদ দাস বলেন, “জেলা পরিষদ থেকে রাস্তা সংস্কার করা হয় না বলেই আমরা যাতায়াতের জন্য সাময়িক সংস্কার করে নিই। বরাবর এই ব্যবস্থাই চলে আসছে। আগেও আমরা একই ভাবে কাজ করেছি।”
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগেই সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জেলাশাসক এবং সাংসদ রাস্তার অবস্থা দেখে এসেছেন। তাঁদের কাছে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি নুরজাহান বেগম বলেন, “জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কাছে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা মঞ্জুর করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। টাকা পেলেই রাস্তাটি সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।”
দক্ষিন বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকগঞ্জ থেকে সাতকুড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বেহাল রাস্তাটির উপর দক্ষিণ বেরুবাড়ি এলাকার ২৬টি গ্রামের ২০ হাজার বাসিন্দা নির্ভরশীল। হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়ি যেতেও এই রাস্তার উপর দিয়ে দক্ষিণ বেরুবাড়ির অধিকাংশ বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। সীমান্তের তীর্থস্থান গর্তেশ্বরী মন্দিরে যাতায়াতের জন্যও এই রাস্তার উপর নির্ভর করেন পুণ্যার্থীরা। সাতকুড়া হাইস্কুলের পড়ুয়াদেরও ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হয়। বিএসএফের দক্ষিণ বেরুবাড়ি সীমান্ত এলাকার ১৪টি ক্যাম্পে যাওয়ার মূল রাস্তাও এটিই।
বিএসএফের মুখপাত্র নন্দিশ কুনোয়ার বলেন, “আমাদের ভারী যানবাহন রাস্তার গর্তের ওপর দিয়ে চলাচল করে। তাতে তেমন অসুবিধা না হলেও সীমান্তরক্ষীরা সাইকেলে বা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করার সময়ে অসুবিধায় পড়েন। অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসনের রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy