কখনও মাওবাদী সংগঠনের নাম করে তোলা আদায়, কখনও মোর্চা নেতাদের নাম করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ির শেঠ শ্রীলাল মার্কেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে ধরা হয় বিমল দোরজি, বীর বাহাদুর গুপ্ত, দিলীপ ত্রিক্ষত্রী ও তাঁর ছেলে দীপেশ ত্রিক্ষত্রীকে। বিমল শিলিগুড়ির গোঁসাইপুরের বাসিন্দা। বীরবাহাদুর সিকিমের গেজিংয়ের এবং বাকি দু’জন কালিম্পঙের ঠাকুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “শিলিগুড়ি ও ভক্তিনগর থানায় একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে এদের গ্রেফতার করে। এঁদের বিরুদ্ধে সিকিম ও কালিম্পঙে এর আগেও মামলা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। রবিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে যত বেশিদিন সম্ভব রিমান্ডে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
তবে এরা যে মাওবাদী সংগঠনের নাম বলেছে সেই ‘মাওয়িস্ট গেরিলা আর্মি’ নামে কোনও সংগঠনের অস্তিত্ব পুলিশ পায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এরা শিলিগুড়ির দুই মাইলের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হুমকি দিয়ে ৩০ হাজার টাকা এবং খালপাড়ার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এ দিন অবশ্য তাঁদের কাছ থেকে ১১ হাজার পাঁচশো টাকা এবং তিনটি চালু মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় তিনটি এবং ভক্তিনগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। দিলীপ ত্রিক্ষত্রী নিজেকে সংগঠনের কমান্ডার বলে পরিচয় দিত। আবার কাউকে বিমল গুরুঙ্গ, কাউকে রোশন গিরি আবার কাউকে ত্রিলোক দেওয়ান বলে পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায় করার ছক কষেছিল। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “আমরা বহুদিন থেকেই পুলিশকে বলছি, আমাদের দলের বদনাম করতেই কেউ এসব করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy