বুধবার দুপুরে কর্মীদের সঙ্গে আচমকা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘরে ঢুকে পড়েন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মহকুমাশাসক নন্দিনী সরস্বতী। ডালুবাবুকে মনোনয়ন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি পক্ষপাতিত্ত্বের অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম নূর। তাঁর অভিযোগ, “ডালুবাবুকে মনোনয়ন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হলেও ভিতরে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁকে কিন্তু বের করা হয়নি। ফলে প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে।” এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “আমি ভিতরে ছিলাম ঠিকই। তবে প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়ার জন্য। আর আমি কোনও সরকারি ক্ষমতায় নেই। আমি সংগঠনের প্রতিনিধি। তবে ডালুবাবু যা করেছেন তা নির্বাচনই বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে আমি মনে করি।” এদিন দুপুরে দলের প্রার্থীদের সঙ্গে ইংরেজবাজারের সত্য চৌধুরী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডালুবাবুকে দেখে ছুটে আসেন মহাকুমা শাসক (সদর) নন্দিনী সরস্বতী। তিনি ডালুবাবুকে বলেন, “আপনি ভিতরে প্রবেশ করায় নির্বাচন কমিশন অভিযোগ করছে। তাই অনুগ্রহ করে মনোনয়ন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।” এর পরেই বেরিয়ে যান ডালুবাবু। তিনি বলেন, “আমাকে মনোনয়ন কক্ষে ঢুকতে প্রথমে কেউ নিষেধ করেননি। ফলে আমি প্রার্থীদের অনুরোধে ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। পরে মহাকুমাশাসক আপত্তি জানায় এবং নিয়মের কথা বললে আমি বের হয়ে যাই। তবে আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি পদে থাকা কোনও ব্যক্তি মনোনয়ন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। মনোনয়ন কক্ষে প্রার্থীর সঙ্গে দু’জন প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া ডালুবাবু পুরসভার বাসিন্দাও নন। তাই তাঁকে মনোনয়ন কক্ষ থেকে বের হতে বলা হয়েছে। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী তথা পুরসভার প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আমি মনোয়ন কক্ষে একবারও যাইনি। তবে শুনেছি ডালুবাবু মনোনয়ন কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আমাদের সভাপতি প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়ার জন্য ছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy