Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
স্মারকলিপি কংগ্রেসের

রামঘাট-কাণ্ডে ধৃতদের মুক্তির দাবি

শিলিগুড়ির রামঘাট কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃতদের মুক্তি ও নিরীহদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিল দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০২:২২
Share: Save:

শিলিগুড়ির রামঘাট কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃতদের মুক্তি ও নিরীহদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিল দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস।

শুক্রবার দুপুরে কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শঙ্করবাবুর দাবি, “পুলিশ এলাকায় গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রান করছে। অনেক নিরপরাধকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছি।” সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবেরও সমালোচনা করেছেন শঙ্করবাবু। তিনি বলেন,“এলাকার মানুষ বৈদ্যুতিক চুল্লি চান না। জোর করে তা করা হচ্ছে।”

এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রামঘাট লাগোয়া এলাকায় যান। যাঁর দেহ শ্মশানে নেওয়ার পথে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই শ্যামলাল শর্মার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, “রামঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির বিরোধিতার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। জমি মাফিয়ারা রয়েছে এর পিছনে। সে দিন কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশের উপরে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল।” কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্করবাবু অবশ্য বলেন, “ষড়যন্ত্রে যে জমি মাফিয়ারা যুক্ত তাঁদের নাম পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া দরকার।”

বুধবার ২৬ নভেম্বর, শিলিগুড়ির জলপাইমোড়ে রামঘাট শ্মশানে একটি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বাসিন্দারা বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ক্ষিপ্ত জনতা পাল্টা হামলা চালায় পুলিশের উপরে। শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশ কান্তি দে-র গাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শূন্যে গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। শেলের আঘাতে জখম হয় এক কিশোরী। জনতার ছোঁড়া ঢিলে আহত হন আইসি ও ওসি। পরে পুলিশ আধিকারিকদের উদ্ধার করতে র্যাফ ও পুলিশবাহিনী। তারা এসে এলাকাবাসীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। গ্রেফতার হন কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সহ মোট ৩৫ জন।

এই ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে প্রায় সব মহলই। বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বামেদের পক্ষ থেকে অবশ্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ বাসিন্দাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ramghat deputation siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE