Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বালুরঘাট গার্লস

লটারিতে নাম নেই কেন, প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি

লটারিতে সুযোগ না পাওয়া ছাত্রীদের ভর্তির দাবিতে প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে অভিভাবকের একাংশের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাটে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) অফিসে ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার বিকেলে জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে অভিভাবকদের একাংশের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৩০
Share: Save:

লটারিতে সুযোগ না পাওয়া ছাত্রীদের ভর্তির দাবিতে প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে অভিভাবকের একাংশের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাটে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) অফিসে ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার বিকেলে জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে অভিভাবকদের একাংশের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নিগৃহীত বালুরঘাট গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা ভবানী সরকার। নিরাপত্তা চেয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এদিন ভবানীদেবী বলেন, “বৃহস্পতিবার একদল অভিভাবক ভর্তির দাবিতে আমার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন। সে সময় আমি বাড়ি ছিলাম না। এর পরই ডিআই অফিসের বৈঠকের সময় কটূক্তি করে চরম হেনস্থা করা হয়। মহকুমাশাসককে বিষয়টি জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছি।”

ডিআই দীপঙ্কর রায় জানান, সরকারি আইনে লটারির মাধ্যমে বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ১১৩ জন ছাত্রী ভর্তি করা হয়। তার পরেও ২৭ জন অভিভাবক তাদের মেয়েদের ভর্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ওই স্কুলে ক্লাস ফাইভের ঘরে জায়গা না থাকায় তাদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন অভিভাবকদের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দুই অভিভাবকের নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ দিন প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিভাবকদের পক্ষে সুব্রত চক্রবর্তী এবং নিমাই দাস। তাঁদের দাবি, সরকারি নিয়মে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ওই স্কুলের দূরত্ব থাকলেও আমাদের মেয়েরা লটারিতে সুযোগ পায়নি। এর পরে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ডিআইয়ের কাছে আবেদন করেছিলাম। গত জানুয়ারি থেকে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে ডিআইয়ের কাছে ভর্তির জন্য ঘুরছিলাম। শেষে বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ডিআই অফিসে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দুজনের থাকার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাউকে ডাকা হয়নি। আমরা ঘরের বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। এর পর বৈঠক শেষ করে কর্তৃপক্ষ ঘর থেকে বের হয়ে নতুন করে কাউকে ভর্তি নেওয়া যাবে না বলে জানান। তখন একাংশের মধ্যে হইচই চেঁচামেচি হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থা করা হয়নি। তাXর বাড়িতে গেলেও কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি।” ওই দু’জনের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE