Advertisement
E-Paper

স্কুল হস্তান্তরের দাবি জিটিএ-র

পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া স্কুল এবং ডাউহিল স্কুলকে জিটিএর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্য সরকার ফের জানিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ জিটিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেশ অধিবেশনের প্রথম দিন কার্শিয়াঙের মোর্চা বিধায়ক রোহিত শর্মা বিষয় বিধানসভায় তোলেন। এখনই স্কুলগুলি জিটিএ হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বলে বিধায়ক জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৭

পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া স্কুল এবং ডাউহিল স্কুলকে জিটিএর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্য সরকার ফের জানিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ জিটিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেশ অধিবেশনের প্রথম দিন কার্শিয়াঙের মোর্চা বিধায়ক রোহিত শর্মা বিষয় বিধানসভায় তোলেন। এখনই স্কুলগুলি জিটিএ হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বলে বিধায়ক জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে নতুন করে কথা বলা হবে বলে জিটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে।

কার্শিয়াঙের বিধায়ক বলেন, “স্কুলগুলি জিটিএকে হস্তান্তর করা হচ্ছে না বলে এদিন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বিষয়টি জিটিএ কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে দিয়েছি। এটা মনে রাখা জরুরি, পাহাড়ে শিক্ষা দফতরটি জিটিএ-র অন্তর্গত। রাজ্য সরকারের উচিত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সেই সম্পর্কিত দফতর জিটিএ-র হাতে তুলে দেওয়া।” বিধায়ক জানান, গত বছরের জুলাই মাসে বিধানসভা বিষয়টি তুলেছিলেন তিনি। ঐতিহ্যমন্ডিত স্কুলগুলি কেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না জানতে চান। গত অক্টোবর মাসে সরকার জানায় স্কুলগুলি জিটিএ-কে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তার কারণ হিসাবে সরকার কোনও কিছু বলেনি। এই অবস্থায় বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনই ফের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, স্কুলগুলি হস্তান্তর না করাই সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আগামীদিনে বিষয়টি নিয়ে সরকার জিটিএ-র সঙ্গে আলোচনা করবে বলেও শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় জানিয়েছেন।

কার্শিয়াং মহকুমার ভিক্টোরিয়া স্কুল এবং ডাউহিল স্কুলের পরিচিতি প্রায় গোটা দেশ জুড়ে। এই দু’টি সরকারি স্কুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করে। এখানকার প্রাক্তনীরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন।

জিটিএ সূত্রের খবর, জিটিএ গঠনের পর থেকেই মোর্চার তরফে এই স্কুলগুলির হস্তান্তরের জন্য রাজ্যের কাছে দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে আসেন। ২২ জানুয়ারি রিচমন্ড হিলে তাঁর সঙ্গে জিটিএ কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। সেখানেও জিটিএ তরফে ফের ওই দাবি জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে একটি দাবিপত্রও দেওয়া হয়। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এদিন বলেন, “আমরা সরকারের সঙ্গে আরেক দফায় কথা বলব। তার পরে দেখা যাক কী হয়। নইলে আমরা কী ব্যবস্থা নিতে পারি তা দেখব।”

gta darjeeling school transfer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy