স্কুলের সংখ্যালঘু ছাত্রদের স্কলারশিপের জন্য পাঠানো পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের পাঠানো কয়েক লক্ষ টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ি মহকুমার স্কুলগুলির নামে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্কলারশিপের টাকার চেক ওই ব্যাঙ্ক থেকে ভাঙানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ৭ টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনীত যাদবের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জেলাশাসক তাঁদের পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন। জেলাশাসক বলেন, “পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তবে যখন শুনলাম, নিশ্চয়ই কথা বলে সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেব। এ ধরণের ঘটনা বরদাস্ত করা যাবে না।”
এই ব্যাপারে ‘আওয়ার লেডি অব লর্ডস জুনিয়র হাই স্কুল’-এর প্রধান শিক্ষক ইগনেসিয়াস বারা অভিযোগ করেন, “সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে ১২ নভেম্বর চেক ছাড়া হয়েছে বলে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেলেও চেকের টাকা আজ পর্যন্ত পাইনি।” সেন্ট টেরেসা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশীল কেরকেট্টা জানান, তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টাকাটা কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে বড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব খালকো।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের শিলিগুড়ি শাখার এডুকেশন সুপারভাইজ়ার আসিফ আলি বলেন, “আমি প্রত্যেকটি স্কুলকে চেক দিয়েছি। তার পরে কীভাবে মেখলিগঞ্জে পৌঁছাল তা বুঝতে পারছি না। তদন্ত হলেই পরিস্কার হবে।”
তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের দার্জিলিং জেলা চেয়ারম্যান নাসির আহমেদ এই ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কাউকে রেয়াত করা যেন না হয় তার আর্জি জানাব।” এ বিষয়ে এখনও কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলা স্কুল পরিদর্শক সঞ্জীব ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy