ভেটাগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের মুখে সিপিএমের একটি লোকাল কমিটির অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। শনিবার ভোরে দিনহাটা থানার ভেটাগুড়ি এলাকার ঘটনা। আগুনে অফিসের জানালা, টেবিল, নির্বাচনী প্রচার সরঞ্জাম-সহ বেশ কিছু নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দিনহাটা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিপিএমের দাবি, ওই অফিসের সামনের দিকে দু’টি দরজার একটিতে বাইরে থেকে তালা ঝোলানো ছিল। ভিতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল অন্য দরজাটিও। সেগুলি ভেঙেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভেতরে ঢুকে পরিকল্পিত ভাবে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে সিপিএমের অভিযোগ। অজ্ঞাতপরিচয় তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলের নেতারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে ভেটাগুড়ি বাজার লাগোয়া এলাকার লোকাল কমিটির অফিসের ভেতর থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখেন কয়েক জন প্রাতঃভ্রমণকারী। খবর পেয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা এলাকার বাসিন্দা তারাপদ বর্মন, ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুর সেখানে যান। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় অফিসটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়নি। তারাপদবাবু বলেন, “সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে তৃণমূলের লোকেরাই দরজা ভেঙে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশকে সব জানিয়েছি। একই কায়দায় ওরা কয়েক দিন আগে এলাকার একটি ফরওয়ার্ড ব্লক অফিসেও তাণ্ডব চালিয়েছিল।” যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, “আমাদের দলের কেউ এ সবে জড়িত নন। ভোটের প্রচারে বিরোধীরা মানুষের কাছে সাড়া পাচ্ছেন না। সেই হতাশা থেকেই বামেরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। সবটাই ওদের সাজানো নাটক।” এ দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই ভেটাগুড়িতে রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। ফব অফিস ভাঙচুর হওয়ার পাশাপাশি শুক্রবার রাতেও দু’পক্ষের মিছিল-পাল্টা মিছিল ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy