Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

রাজ্যে বিজেপিই ‘আহত বাঘ’, বললেন মুকুল

কেন্দ্র সরকার ভাঙার চেষ্টা করলে তিনি ‘আহত বাঘে’র মতো ভয়ঙ্কর হবেন বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০৩:৪৭
Share: Save:

বিজেপিই বাংলার ‘আহত বাঘ’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের।

কেন্দ্র সরকার ভাঙার চেষ্টা করলে তিনি ‘আহত বাঘে’র মতো ভয়ঙ্কর হবেন বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। সেই সূত্রেই মুকুলবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। এখনও প্রতিদিন আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। তাঁরা খুন হচ্ছেন। বাংলায় আমরাই আহত বাঘ। আর সেই বাঘ কী করতে পারে, নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।’’ ভোটের পরিসংখ্যান দেখিয়ে এর পরেই মুকুলবাবু দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে, তা থেকেই পরিষ্কার, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। মমতাও তা বুঝতে পারছেন বলে, ‘পরিকল্পিত’ ভাবে বিজেপির উপর হামলা চালাচ্ছেন।

তবে কি তাঁরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন? এ দিনই দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, নীতিগত ভাবে তাঁরা ৩৫৬ ধারার বিরোধী। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাংলার অবস্থা ভয়াবহ। এ ভাবে চলতে থাকলে বিজেপি কেন্দ্রের কাছে ৩৫৬ ধারা জারি করার আবেদন জানাবে।’’ মুকুলবাবুর অবশ্য দাবি, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি শাসন চাওয়ার কোনও আবেদন বিজেপি করবে না। তবে রাজ্যের পরিস্থিতির সমস্ত রিপোর্ট তাঁরা নিয়মিত কেন্দ্রীয় সরকার এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠাতে থাকবেন। ব্যবস্থা যা নেওয়ার, তা কেন্দ্রই নেবে। এই প্রসঙ্গেই মুকুলবাবু বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শহিদ হওয়ার সুযোগ দেব না। আমাকে ফেলে দিয়েছে বলে উনি কেঁদে বেড়াবেন, এটা হতে দেব না। তবে উনি ঘর সামলান। ওঁর ঘরের ১৪৭ জন এসে যদি বলেন বিজেপিতে যোগ দেবেন, তখন কী করব?’’

এর পরেই মুকুলবাবু ফিরে যান সন্দেশখালির প্রসঙ্গে। এ দিনও তিনি দাবি করেন, ভাঙিপাড়ায় তাঁদের তিন জন কর্মী নিখোঁজ। যদিও তৃণমূলনেত্রী এ দিন বলেছেন, ‘‘ওঁরা বলছেন ৩ জন নিখোঁজ। আমাকে আমাকে নাম ঠিকানা দেখান। সব মিথ্যে কথা।’ মুকুলবাবুর পাল্টা, ‘‘নাম ঠিকানা সব দেব। উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন তো? না পারলে পদত্যাগ করবেন তো?’’ নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘সেই সময় তৃণমূল বলত, নন্দীগ্রামে ৫৬ জন নিখোঁজ। তাঁদের নাম ঠিকানা কি তৃণমূলনেত্রী দিতেন?’’ তাঁর দাবি, বাম জমানায় বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতাও জেলা থেকে কর্মীদের মৃতদেহ কলকাতায় এনেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশাসন বাধা দেয়নি। তা হলে এখন মমতার প্রশাসন কেন বিজেপিকে বাধা দিচ্ছে?

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE