Advertisement
E-Paper

তথ্য নিয়ে মামলায় শুনানি ভিডিও-য়

তথ্য কমিশন দফতর সূত্রের খবর, সেখানে হাজার সাতেক আবেদনের ফাইল জমে আছে। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি দফতরে এক জন ‘পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসার’ বা তথ্য আধিকারিক থাকেন।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩২

আইন চালু হয়েছে ২০০৫ সালে। তার এক যুগ পরেও তথ্য জানার অধিকার আইনে কিছু জানতে চেয়ে তথ্য কমিশনে চিঠি পাঠালে উত্তর পেতে বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে!

জন-হয়রানি ঠেকাতে এ বার ভিডিও কনফারেন্স বা ভিডিও-সম্মেলনে শুনানির ব্যবস্থা করছে রাজ্য তথ্য কমিশন। রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাস চারেকের মধ্যেই ভিডিও-সম্মেলন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। কলকাতায় আসতে হবে না দূরের জেলার আবেদনকারীদের। ভিডিও–র বন্দোবস্ত হলে বিভিন্ন আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে।’’

তথ্য কমিশন দফতর সূত্রের খবর, সেখানে হাজার সাতেক আবেদনের ফাইল জমে আছে। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি দফতরে এক জন ‘পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসার’ বা তথ্য আধিকারিক থাকেন। কেউ ওই দফতর সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট অফিসার ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। উত্তর না-পেলে আবেদনকারী ওই দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে পারেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনও উত্তর না-পেলে আবেদনকারী অভিযোগ দায়ের করতে পারেন রাজ্য তথ্য কমিশনে।

২০০৫ সালের ১৫ জুন সংসদে তথ্যের অধিকার আইন পাশের চার মাসের মাথায়, ১২ অক্টোবর তা বলবৎ হয়। রাজ্যে তথ্য কমিশন কাজ শুরু করে ২০০৬-এ। তার পর থেকে ফি-বছর আবেদনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১৬ সালে কমিশনে মোট আবেদনপত্রের সংখ্যা ছিল ১২৫০। ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয় ১৬১৯। নিয়ম অনুযায়ী কমিশনে একাধিক তথ্য কমিশনার থাকার কথা। কিন্তু গত মার্চ থেকে জুন তথ্য কমিশনারের পদে মাত্র এক জন থাকায় কোনও আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় গত জুলাইয়ে রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে কমিশনের কাজে কিছুটা গতি এসেছে। ভিডিও-সম্মেলন চালু হলে সেই গতি আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন দক্ষিণবঙ্গের দূরবর্তী জেলা বা উত্তরবঙ্গ থেকে শুনানির জন্য কোনও আবেদনকারীকে আর কলকাতায় ছুটে আসতে হবে না। রাজ্য তথ্য কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এত দিন কমিশনের পাঠানো চিঠিতে শুনানির নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হলেও অনেক সময়ে আবেদনকারীরা নানান সমস্যায় কলকাতায় আসতে পারতেন না। ফলে আবেদনের সুরাহা পিছিয়ে যাচ্ছিল।’’ ওই আধিকারিক জানান, ভিডিও-সম্মেলন ব্যবস্থা চালু হলে তথ্য কমিশনার কলকাতায় কমিশনের অফিসে বসেই সংশ্লিষ্ট জেলার অফিস থেকে আবেদনকারী এবং‌ সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মীর যাবতীয় বক্তব্য শুনে সুরাহা করতে পারবেন।

Court VDO RTI Video conference
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy