Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Swatho sathi

নথিভুক্তি নম্বরে সুবিধা স্বাস্থ্যসাথীর

জেলা প্রশাসনগুলি জানাচ্ছে, একটি সংস্থা কিছু সংখ্যক করে ‘কিট’ পৌঁছে দিয়েছে জেলায় জেলায়।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১২
Share: Save:

স্মার্ট কার্ড হাতে না থাকলেও আপাতত ‘ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর’ (ইউআরএন)-এর মাধ্যমে নতুন উপভোক্তাকে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

জেলা প্রশাসনগুলি জানাচ্ছে, একটি সংস্থা কিছু সংখ্যক করে ‘কিট’ পৌঁছে দিয়েছে জেলায় জেলায়। ব্লকভিত্তিক ভাবে ‘কিট’ গুলি ব্যবহার করে আবেদনকারীর স্মার্টকার্ড তৈরি করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে উপভোক্তার ছবি, আধার অথবা খাদ্যসাথীর কার্ড এবং হাতের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) নিয়ে তৎক্ষণাৎ ‘কিট’ থেকে কার্ড ছাপিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক-এক জনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালাতে ৭-১০ মিনিট সময় লাগছে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দিনে খুব বেশি সংখ্যায় মানুষকে সেই সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে ইউআরএন-ই এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

জেলা-কর্তাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, অনলাইনে আবেদনপত্র আপলোড হওয়ার পরে তা গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার জন্য ‘ইউনিক’ একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। সেই উপভোক্তাকে সঙ্গে সঙ্গে কার্ড দেওয়া না গেলেও, ইউআরএন-টি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চলতি ব্যবস্থায় এর মধ্যে কাউকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেতে অসুবিধা হবে না। ইউআরএন জানালেই জরুরিভিত্তিক ‘কিট’ থেকে রোগীকে স্মার্ট কার্ড দিয়ে দেওয়া হবে। ফলে বিমার আওতায় চিকিৎসা খরচ পেতে উপভোক্তার অসুবিধা হবে না।

আরও পড়ুন: কমছে সংক্রমণ, রাজ্যে এক হাজারের নীচে নেমে এল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা

আরও পড়ুন: সোমে কলকাতায় বাইক র‌্যালিতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গে কৈলাসও

প্রশাসন সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের চতুর্থ দফায় কর্মসূচি চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্যসাথী চেয়ে আরও আবেদনপত্র জমা পড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথীতে ৫২ লক্ষের কিছু বেশি আবেদনপত্র মঞ্জুর হলেও (কিছু আবেদনপত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বাদ গিয়েছে) স্মার্ট কার্ড দেওয়া গিয়েছে প্রায় ১৪ লক্ষ উপভোক্তাকে।

অনেকেই মনে করছেন, প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হওয়ার পরেও কার্ড না থাকায় কেউ চিকিৎসা বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলে ভোটের আগে তা সরকারের পক্ষে সুখকর হবে না। তাই ইউআরএন-কেই পরিষেবা দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসাবে আপাতত বিবেচনা করেছে রাজ্য।

সূত্রের খবর, আবেদনপত্রের সংখ্যা এবং স্মার্ট কার্ড পাওয়ার মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে ‘কিট’ গুলির নিবিড় ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। সেই কারণেই আগের থেকে দৈনিক স্মার্টকার্ড তৈরির হার বেড়েছে। এক কর্তার দাবি, “আবেদনপত্রের সঙ্গে স্মার্ট কার্ড প্রদান বেড়েছে সমান্তরাল ভাবে। ৩১ ডিসেম্বরেই শুধু ১ লক্ষের বেশি কার্ড বিলি করা গিয়েছে। আশা করা যায়, এই ভাবেই প্রতি দিন লক্ষাধিক করে স্মার্ট কার্ড উপভোক্তাদের দেওয়া যাবে। এ ভাবে চললে প্রত্যেক উপভোক্তার কাছে স্মার্ট কার্ড পৌঁছতে সময় লাগবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swatho sathi West Bengal Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE