ফাইল চিত্র।
একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, আর এক দিকে ফের রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পথ খুলে যাওয়া। দুই জোড়া ফলাতেই নিজেদের সুর কিছুটা হলেও নরম করে রাস্তায় বাস নামানোর পথে হাঁটলেন বেসরকারি বাস মালিকেরা। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার বাস-দুর্ভোগ কিছুটা কম ছিল শহরে। পাশাপাশি পরিবহণ সচিবের কাছে ফের এ দিন নিজেদের প্রস্তাব জমা দেয় মালিক সংগঠনগুলি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো আজ, শুক্রবার পর্যাপ্ত পরিমাণে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামানোর শেষ দিন। সরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে ৩ জুলাইয়ের পর থেকে বেসরকারি বাস অধিগ্রহণের কথা ঘোষণা করবে রাজ্য। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অবশ্য শহর ও শহরতলিতে প্রায় চার হাজার বেসরকারি বাস রাস্তায় নামে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও জানান, এ দিন শহরে ১৮০০ সরকারি বাস ও ৩৮০০ বেসরকারি বাস চলেছে। এ দিন শহরের কিছু জায়গায় যাত্রীর জন্য বাসকে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও মালিকই দীর্ঘ দিন বাস ফেলে রেখে যন্ত্রাংশের ক্ষতি চাইবেন না। আর ফের আলোচনার পথ খুলে যাওয়ায় সংগঠন থেকে মালিকদের বাস নামাতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’’ সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সভাপতি টিটো সাহারও একই মত।
রাজ্য প্রশাসনের একাংশের মতে, নিয়মানুযায়ী কোনও রুটের বাস যদি দীর্ঘ দিন পরিষেবা না দিয়ে বন্ধ রাখলে সরকার সেই রুটের পারমিট বাতিল করতে পারে। সেই আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে মালিকদের একাংশের মধ্যে। তাই আলোচনার মাধ্যমেই স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজছে সংগঠনগুলি। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুর কথায়, ‘‘আনলকের প্রথম থেকেই আমরা বলেছি যাঁরা পারবেন তাঁরা বাস চালাবেন। এখনও তাই বলছি।’’
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ফের আলোচনার পথ খোলায় আমরা আশাবাদী। তবে এ দিন যাঁরা বাস নামিয়েছেন, তাঁদের লোকসানই হয়েছে।’’ প্রশাসনের একাংশের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে সরকারি বাস বেশি সংখ্যায় চালানোয় যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কম হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy