মিড ডে মিল বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, পড়ুয়াদের খাওয়া বাবদ যত টাকা বরাদ্দ, তাতে একটা ডিমও কেনা যায় না। তাই ছ’দিনে ছ’রকম মেনু ঠিক করা সম্ভব নয়। তার চেয়ে বরং পেট ভরে ডাল-ভাত খেতে দেওয়া হোক পড়ুয়াদের।
দিন কয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুর ও বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং হুগলির জেলাশাসক মিড ডে মিলের নতুন মেনু তৈরি করেন। সেই মতো নিজেদের জেলায় নির্দেশিকাও জারি করেন তাঁরা। তাতে সপ্তাহে দু’দিন পড়ুয়াদের মাছ অথবা ডিম দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। বাকি দিনগুলিতে নিরামিষ খেতে দেওয়া হলেও, মেনুতে রাখা হয় সয়াবিনের তরকারি, আলু পোস্ত এবং চাটনি। সেই নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। কারণ মিড ডে মিল বাবদ পড়ুয়াদের মাথাপিছু ১ টাকা ৬৫ পয়সা দেয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার দেয় ২ টাকা ৪৮ পয়সা। এই সামান্য টাকায় এত কিছু কী ভাবে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
এর মধ্যেই সোমবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মিড ডে মিল নিয়ে খামোকা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘মিড ডে মিল নিয়ে কি সাত দিনে সাত রকমের খাবার ঠিক করেছ? কাগজে যা দেখছিলাম সেটা কি ভুল? রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন চাহিদা রয়েছে। সকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমি নিজের মতো করে নিতে বলেছি।’’ এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি দূর করতে পরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়।