Advertisement
E-Paper

আবার ‘ডেঙ্গিতে’ মৃত্যু বাদুড়িয়ায়

সম্প্রতি ৬ জন আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছিল। শনিবার পুরুলিয়া শহরে আরও ১১ জনের শরীরে ডেঙ্গি সংক্রমণ ধরা প়ড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:০৩
কাসের আলি মোল্লার ডেথ সার্টিফিকেট। —নিজস্ব চিত্র।

কাসের আলি মোল্লার ডেথ সার্টিফিকেট। —নিজস্ব চিত্র।

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বসিরহাটের বাসিন্দা, পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী কাসের আলি মোল্লার (৫৭)। শুক্রবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। চিকিৎসক কাসেরের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার কথা লিখেছেন। গত বছরেই বাদুড়িয়ায় ডেঙ্গি মহামারীর আকার নিয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৩২ জন। এ বার বর্ষা শেষ হওয়ার আগেই ফের সেখানে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে পুরুলিয়াতেও। সম্প্রতি ৬ জন আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছিল। শনিবার পুরুলিয়া শহরে আরও ১১ জনের শরীরে ডেঙ্গি সংক্রমণ ধরা প়ড়েছে।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কাসেরের মৃত্যুর নথিপত্র তাদের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু ডেঙ্গিতে মৃত্যু বলে ঘোষণা করার আগে তা ফের যাচাই করা হবে। কাসেরের পরিবার জানিয়েছে, দিন পনেরো আগে জ্বর হয়েছিল কাসেরের। সঙ্গে গায়ে ব্যথা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বমির মতো উপসর্গও ছিল। ২২ জুলাই বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তিন দিন পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু দু’দিনের মাথায় ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদারের দাবি, গত কয়েক মাসে তাদের হাসপাতালে অন্তত ২০০ জন জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের রক্তে ডেঙ্গির নমুনা মিলেছে। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ নিয়ে কাসের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।’’

পুরুলিয়া শহরের দেশবন্ধু রোড এলাকাতেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। এ দিন ওই এলাকাকে ‘হাইঅ্যালার্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা বৈঠক করেছে। জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘একই এলাকায় নতুন করে ১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়া খুবই চিন্তার ব্যাপার। স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) গুরুদাস পাত্র জানান, পুরসভা ওই এলাকায় রোজ জ্বরের সমীক্ষা চালাবে। জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। বস্তুত, গত কয়েক দিনে ওই এলাকায় স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার প্রতিনিধিরা যত্রতত্র জমা জলে এডিস মশার লার্ভা দেখতে পান। পুরপ্রধান সামিমদাদ খান বলেন, ‘‘জমা জল পরিষ্কারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’

Dengue Baduria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy