আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ আটক করল মূল অভিযুক্ত প্রেমিককে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার রাতের ঘটনা।
শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই তরুণীর। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের ‘প্রেমিক’ই তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন। তরুণীর মায়ের দাবি, পুরীর মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন মেয়ে ও তাঁর প্রেমিক। অভিযোগ, সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তাঁর মেয়ে। সে কথা জানতে পেরে দু’জনকে সামাজিক মতে বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হলে মেয়ে তাতে রাজি হন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপও দিতে থাকেন তিনি। তবে প্রেমিক তাতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। ধীরে ধীরে দু’জনের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল। এই অবস্থায় দিন চারেক আগে ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য মালদহে গিয়েছিলেন। শুক্রবার তরুণীর পরিবারে ফোন করে কেউ জানান, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। এর পরে তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা মালদা গিয়ে দেখতে পান, মেয়ের মুখ থেকে ফেনা বার হচ্ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।
আরও পড়ুন:
সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল মালদা পুলিশ। শনিবার রাতে আটক করা হয় মৃতার ‘প্রেমিক’ তথা মূল অভিযুক্তকে। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
(ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো ঘটনায় আদালত যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। আইনি বাধা রয়েছে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশেও। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম এই ঘটনায় মৃতা ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছাত্রের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে। মামলা দায়েরের আগে কোথাও নাম-ছবি প্রকাশিত হলে, তা-ও সরিয়ে ফেলা হয়েছে)