ফাইল চিত্র।
শুধু বিরোধীরাই নয়। প্রকাশ্যে না বললেও রাজ্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনে প্রশ্ন করার সুযোগ কমে যাওয়ায় একান্ত আলোচনায় অসন্তোষ জানাচ্ছেন শাসক শিবিরের বিধায়কদের একাংশও। শাসক তৃণমূল সরকারি ভাবে অভিযোগ না মানলেও এ বারের ৭ দিনের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর-পর্ব নিয়ে ‘উদাসীনতা’য় নিজেদেরই ক্ষতি দেখছেন দলের বিধায়কদের একাংশ। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এ বারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর আছে। সব সময়েই যত বেশি সম্ভব রাখার চেষ্টাও হয়।’’
বিরোধীরা প্রকাশ্যেই বলছেন, বিধানসভার গুরুত্ব লঘু করে ফেলা হচ্ছে। বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বাদ দিয়ে স্থায়ী কমিটির পুরনো রিপোর্ট নিয়ে বেনজির ভাবে আলোচনা হচ্ছে। চলতি অধিবেশনে এখনও পর্যন্ত মাত্র এক দিনই প্রশ্নোত্তরের সুযোগ পেয়েছিলেন বিধায়কেরা। আজ, সোমবারের প্রশ্নোত্তর-পর্ব নিয়ে কোনও আগাম বিজ্ঞপ্তি হয়নি। অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা কাল, মঙ্গলবার। তৃণমূলের তিন বারের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করে ঠিকই। কিন্তু আমাদেরও এলাকার বহু কাজের সম্পর্কে জানার থাকে। সবই জনস্বার্থবাহী বিষয়।’’
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশনে তাঁর সুবিধামতো বিষয়ে বলেন। মন্ত্রীরাও তা-ই। সরকারের অসুবিধা হবে বলে বিরোধী দলনেতার প্রশ্নও নেওয়া হয় না, আবার নিলেও প্রথমে রাখা হয় না। আমার মতো এত দিনের বিধায়ককে স্পিকারের আসন থেকে ধমকানো হয়!’’ পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এই মত মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে প্রশ্নের সুযোগ বেড়েছে। বিরোধীরা তো বেশির ভাগ সময়ই বয়কট করেন। জানেন না, মুখ্যমন্ত্রী নিজের তো বটেই অন্য দফতর সম্পর্কেও প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।’’
বিরোধী নেতাদের দাবি, প্রশ্নোত্তরে তাঁরা গোলমাল করেন না। তাঁদের অভিযোগ, কর্মসূচি না থাকায় নজিরবিহীন ভাবে স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ মুলতুবি বা বেসরকারি প্রস্তাব আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্থবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি নজিরবিহীন ঠিকই তবে তা গণতান্ত্রিক ভাবনার প্রতিফলন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy