Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে ফেব্রুয়ারিতেই

শীতের আমেজ থাকতে থাকতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষে সায় দিয়েছিল নবান্নের শীর্ষ মহল। সেই অনুযায়ী ভোট-প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৩৫
জানুয়ারির কোনও একটা দিন ভোট ঘোষণা হতেই পারে।

জানুয়ারির কোনও একটা দিন ভোট ঘোষণা হতেই পারে। ফাইল চিত্র।

নিয়মবিধি অনুযায়ী রাজ্যে আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তবে ঠিক কোন সময়ে সেই নির্বাচন হবে, সরকারি ভাবে এখনও তা স্পষ্ট করা হয়নি। যদিও ভোট এগোনোর জল্পনা পল্লবিত হচ্ছে। ভোট-প্রস্তুতির কাজও চলছে জোরকদমে। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ নাগাদ পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ইত্যাদি বিবেচনায় রাখলে ওই সময় চাইলে ওই ভোট করিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হবে না।

শীতের আমেজ থাকতে থাকতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষে সায় দিয়েছিল নবান্নের শীর্ষ মহল। সেই অনুযায়ী ভোট-প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েতের ‘ডিলিমিটেশন’ বা সীমানা পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তার চূড়ান্ত তালিকা বেরোনোর কথা। শেষ হবে আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত পর্বও। আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে ছ’সপ্তাহের মধ্যে ভোট করানো যায় না। সে-ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়াগুলি শেষ হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। জানুয়ারির কোনও একটা দিন ভোট ঘোষণা হতেই পারে।

আধিকারিকদের বক্তব্য, আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা ২৩ ফেব্রুয়ারি। তার সপ্তাহখানেক আগে ভোট-প্রক্রিয়া শেষ করে ফেললে পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে না। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে পরীক্ষা এড়িয়ে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকতে থাকতেই ভোট করানো সম্ভব। প্রস্তুতি চলছে সেই লক্ষ্যেই। নইলে এপ্রিল-মে মাসে ভোট করাতে হবে।”

কৃষ্ণনগরে বুধবারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, “মিউনিসিপ্যালিটি, পঞ্চায়েত, গ্রামসভা, জেলা পরিষদের কাজগুলো ভাল করে করুন। এক্ষুনি পঞ্চায়েত (নির্বাচন) হচ্ছে না। এখন বর্ষা (শেষ) হয়ে গিয়েছে। এখনই তো কাজ করার সময়। যে-সব কাজ বাকি আছে, টোটালি কমপ্লিট করুন ইমিডিয়েটলি (এখনই পুরো শেষ)। এটা আমি চাই।”

ভোট-বিশেষজ্ঞদের মতে, ছুটির দিনগুলি বিবেচনায় রাখলে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে ২৪-২৫ দিন হাতে সময় রেখে ভোট করানো যেতেই পারে। সেই দিক থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে ভোট করানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে জানুয়ারির মাঝামাঝি কোনও সময়ে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের সমান্তরালে জেলায় জেলায় ভোটের প্রস্তুতি চালাতে কমিশনের কোনও সমস্যা হবে না।

Panchayat Poll West Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy