E-Paper

তড়িঘড়ি করে গরমের ছুটি কেন? স্কুল খোলা রাখার দাবিতে অভিভাবকদের চিঠি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে

কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এবং মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির দেখা মেলায় স্কুলে তড়িঘড়ি করে গরমের ছুটি কেন দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ০৬:১৬
School

স্কুল খুলে রাখার দাবি অভিভাবকদের। প্রতীকী চিত্র।

মঙ্গলবার থেকে সরকার, সরকার-পোষিত এবং সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি পড়ছে। কবে স্কুল খুলবে, তা জানেন না শিক্ষকেরাও। শিক্ষা দফতর স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি দিলে তবেই স্কুল খোলার অনুমতি মিলবে।

গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এবং মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির দেখা মেলায় স্কুলে তড়িঘড়ি করে গরমের ছুটি কেন দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। এ বার তারা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি লিখে চলতি আবহাওয়ায় স্কুল খুলে রাখার অনুরোধ করল।

শনিবার স্কুল হয়েই গরমের ছুটি পড়েছে। সোমবার ছিল মে দিবসের ছুটি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাংশের কথায়, “কবে স্কুল খুলবে তা শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া জিজ্ঞেস করেছে। আমরা উত্তর দিতে পারিনি। বড় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।” অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “এখন যা পরিস্থিতি, তাতে স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়া অর্থহীন। আবার তাপপ্রবাহ হলে ছুটি দেওয়া হোক। কিন্তু এখন পড়ুয়াদের স্বার্থে স্কুল খোলা থাকুক। আমরা শিক্ষা দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠিও লিখেছি।”

শুধু পড়াশোনা নয়, গরমের ছুটিতে স্কুল দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকলে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনেও সমস্যা হবে বলে দাবি শিক্ষকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরে স্কুলে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে না। প্রথম দু’বছর কোভিডের কারণে হয়নি। গত বছরেও বেশি গরম পড়ায় আগেভাগে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উত্তর কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “ভেবেছিলাম এ বার রবীন্দ্র জয়ন্তী ভাল ভাবে পালন করব। অনলাইনে কি আর রবীন্দ্র জয়ন্তী করা যায়? তড়িঘড়ি করে গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি পাল্টানো যায় না?” গরমের ছুটি পড়ে গেলেও কিছু স্কুল অবশ্য নিজেদের মতো করে অনলাইন ক্লাস শুরু করছে। এই অনলাইন ক্লাস চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। কিন্তু অনলাইন ক্লাসের সুবিধা কতজন পড়ুয়া নিতে পারবে, সেই প্রশ্নও থেকে যায় বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর কথায়, “তড়িঘড়ি করে গরমের ছুটিতে খুশি নন বেশিরভাগ অভিভাবকও। তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, বেসরকারি স্কুল তো গরমের ছুটি দিল না। তা হলে সরকারি স্কুলে কেন? প্রয়োজনে তো সকালের দিকে স্কুল করা যেতে পারত।”

শিক্ষা দফতরের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, স্কুল খোলা সংক্রান্ত কোনও নতুন সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। যা সিদ্ধান্ত হবে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Summer Vacation Summer Season Summer Holiday

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy