এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলায় কয়েক দিন আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। এ বার মামলা থেকে মুক্তি চেয়ে তাঁরা আদালতে আবেদন করলেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা ‘নির্দোষ’।
সম্প্রতি এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। গত শুক্রবার গ্রুপ সি মামলাতেও আলিপুর আদালতে শেষ চার্জশিট জমা পড়েছে। এর আগে ওই মামলায় আরও দু’টি চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। সব মিলিয়ে চারটি চার্জশিট জমা পড়েছে। সব মামলা মিলিয়ে মোট ৭৫ জনকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার পরেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পরেশ-অঙ্কিতারা।
বৃহস্পতিবার পিতা-কন্যা আদালতে দাবি করেন, তাঁরা নির্দোষ। অঙ্কিতা নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। পরেশ-অঙ্কিতার আইনজীবী সওয়াল করেন, অঙ্কিতা যখন চাকরি পেয়েছিলেন, তখন পরেশ কোনও পদে ছিলেন না। তাই কাউকে প্রভাবিত করার প্রশ্নই ওঠে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি দিয়ে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। পরে সেই চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ববিতা সরকার নামে আর এক চাকরিপ্রার্থী। ওই মামলায় ২০২২ সালে মে মাসে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার চাকরি এবং বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পান ববিতা। পরে জানা যায়, ববিতারও নম্বর মূল্যায়নে ভুল রয়েছে। তাঁরও চাকরি চলে যায়। শেষমেশ ওই চাকরি পান অনামিকা রায় নামে আর এক প্রার্থী! কিন্তু গত বছর ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যায় অনামিকার চাকরিটিও। সম্প্রতি এসএসসি-র প্রকাশিত ‘দাগি অযোগ্যদের’ তালিকার ১০৪ নম্বরে নাম রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী-কন্যার।