পার্থর পর মানিক নিয়েও কি কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল? ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কী পার্থর মতোই পলাশিপাড়ার বিধায়ককে সাসপেন্ড করবে তৃণমূল? তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ফিরলেই এ বিষয়ে বৈঠকে বসতে পারে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার পরেই মানিককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে দল। তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতারের পর দু’দিন কেটে গেলেও, এখনও মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফ থেকেও মানিককে নিয়ে কোনও স্পষ্ট বক্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি। তাই দলের একাংশ মনে করছে অভিষেক ফিরলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর পাশাপাশি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান এবং এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ কর্তারা একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় ইডি, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। তাই মানিকের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ জরুরি বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসকদল।
তবে দলের অন্য একটি অংশের মতে, পার্থর মতো মানিকের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার যেমন হয়নি, তেমনই একাধিক বান্ধবীর নামও প্রকাশ্যে আসেনি। যা পার্থর ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই চরম বিড়ম্বনায় ফেলেছিল। তাই ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতারের পর, ২৯ জুলাই তাঁকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে সরিয়ে দিতে এক রকম বাধ্যই হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর মানিকের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, যা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাই পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পার্থর মতো ততটা কড়া পদক্ষেপ না-ও নিতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy