Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Recruitment Scam

‘নিয়োগকর্তা তো নই, মন্ত্রী ছিলাম’, আবারও দুর্নীতির সব দায়িত্ব বোর্ডের ঘাড়ে দিয়ে দায় এড়ালেন পার্থ

বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে পরিচিত মহলে পার্থ বলেন, “আমি নিয়োগকর্তা নই, আমি মন্ত্রী ছিলাম। আমি এ কাজকে সমর্থন করি না, করব না।” বোর্ড নিজের আইনে চলে বলেও দাবি করেন তিনি।

Partha Chattopadhyay claimed he had no contribution in recruitment scam case

নিয়োগকর্তা ছিলাম না, আবারও দাবি করলেন মন্ত্রী পার্থ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৫:১৬
Share: Save:

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নিজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করলেন। বৃহস্পতিবার বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে পরিচিত মহলে পার্থ বলেন, “আমি নিয়োগকর্তা নই, আমি মন্ত্রী ছিলাম। আমি বেআইনি কাজকে সমর্থন করি না, করব না।” বোর্ড নিজের আইনে চলে বলেও দাবি করেন তিনি। বোর্ড বলতে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বোঝাতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২ মার্চও প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছিলেন পার্থ। তবে বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকা এবং বেরোনোর মুখে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে পার্থকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

গত ২ মার্চ আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থ-সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ১৩ জনের শুনানি ছিল। শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দেন পার্থ। একইসঙ্গে পার্থ দাবি করেছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন হোক বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ— সবই স্বশাসিত সংস্থা। নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে মন্ত্রীর কোনও ক্ষমতা নেই। তিনি যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়কালে রাজ্যে স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সেই অভিযোগের তদন্ত করছে। একইসঙ্গে নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। স্কুলে একটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালত দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যৌথ ভাবে তদন্তদের নির্দেশও দিয়েছে। ইডির হাতে গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। সেই পার্থ আগের দিন স্কুলে নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নিয়োগ সংস্থা এসএসসি বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ— সবটাই স্বাধীন বোর্ড। মন্ত্রী এখানে তো নিয়োগকর্তা নন।’’

পার্থ-সহ যে ১৩ জনকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। তবে তার আগে অভিযুক্তদের আর কত দিন হেফাজতে রাখা হবে, সে প্রশ্ন তোলেন তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালতও। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা এবং আবদুল খালেকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, একটি মামলা বছরের পর বছর চলতে থাকলে অভিযুক্তদের সঙ্গে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। অভিযুক্ত যে বেঁচে থাকবেন, সেই নিশ্চয়তাও নেই। বৃহস্পতিবারও মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে এবং নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সিবিআই অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হাকে হেফাজতে নিতে না চাওয়ায় তদন্তকারী সংস্থাকে ভর্ৎসনা করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Scam partha chattopadhyay CBI SSC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE