বিজেপি দফতরে বিক্ষোভ। —সংগৃহীত।
সল্টলেকে বিজেপি দফতরে তুলকালাম কাণ্ড বুধবার সন্ধ্যায়। দলেরই একদল কর্মী বড় লোহার দরজা ভেঙে দফতরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বেশ কিছু ক্ষণ ধরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হল নিরাপত্তাকর্মীদের। বেশ খানিক ক্ষণ তপ্ত থাকে পরিস্থিতি। যা নিয়ে বিরক্তি লুকোচ্ছেন না দলের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি জানি না কী ঘটেছে। তবে যা শুনেছি তা যদি হয়ে থাকে, তবে বিজেপির মতো দলে একেবারেই অনভিপ্রেত।’’
ঘটনা কী?
জানা গিয়েছে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার জনা পঁচিশেক কর্মী বুধবার সন্ধ্যায় দলের সল্টলেকের দফতরে পৌঁছে যান। তাঁদের মূল অভিযোগ, জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, জেলা সভাপতি তৃণমূলের সঙ্গে ‘সেটিং’ করে দল পরিচালনা করছেন। ফলে দলের যা কর্মসূচি হওয়া উচিত, তা হচ্ছে না। দলের মধ্যে যাঁরা সক্রিয়, তাঁদের কোণঠাসা করা হচ্ছে বলেও দাবি বিক্ষুব্ধদের।
বুধবার দলের দফতরের সামনে পৌঁছেই ‘তরুণ হটাও, বিজেপি বাঁচাও’ স্লোগান তোলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। সেই সময়ে দলের দফতরের মূল ফটকটি তালা বন্ধ ছিল। কাউকে দেখা যায় পাঁচিল টপকে দলের দফতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন, কেউ আবার আধলা ইট তুলে এনে গেটের তালা ভাঙারও চেষ্টা করেন। গোটা ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে দল।
শমীক বলেন, ‘‘যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের কথা দল শুনবে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তাঁরা গোটাটা করেছেন বলে শুনেছি তা কাম্য নয়। গোটা বিষয়ের উপর দল দল নজর রাখছে।’’ বিধানসভা ভোটের পর থেকেই জেলায় জেলায় বিজেপির কোন্দল বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। সে পূর্ব বর্ধমান হোক বা জলপাইগুড়ি, হুগলি হোক বা বারাসত কিংবা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা— গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে বার বার। কোথাও কোথাও রাজ্য ও সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সামনেই সে সব ঘটেছে। তবে বুধবার যেন ‘সদর দফতরে কামান দাগতে’ চেয়েছিলেন বারসত সাংগঠনিক জেলার কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy