Advertisement
E-Paper

লাগামছাড়া আর্দ্রতা আর গুমোটে চলবে ভোগান্তি

গরমে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (যদি সেটা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়) স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি হলেই তাপপ্রবাহ বলা হয়। সেই বিচারে পশ্চিমাঞ্চলের সব জায়গায় সোমবার তাপপ্রবাহ বয়েছে, তা হয়তো বলা যাবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০৪:১৩
ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

গরম এবং আর্দ্রতার দাপট চলছেই। তার উপরে কলকাতা থেকে হাওয়া প্রায় উধাও! ফলে গুমোট গরমে রীতিমতো সেদ্ধ হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। গরম এবং ঘামের জ্বালায় অতিষ্ঠ মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে কার্যত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। তবে সন্ধ্যায় গাঙ্গেয় বঙ্গের কোনও কোনও জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হয়েছে উত্তরেও।

গরমে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (যদি সেটা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়) স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি হলেই তাপপ্রবাহ বলা হয়। সেই বিচারে পশ্চিমাঞ্চলের সব জায়গায় সোমবার তাপপ্রবাহ বয়েছে, তা হয়তো বলা যাবে না। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দশমিক-ভগ্নাংশের হেরফেরে হয়তো খাতায়-কলমে তাপপ্রবাহ বলা যাবে না। কিন্তু গরমের অনুভূতি সমান ভয়ঙ্কর। তাই একে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বলা হয়। অর্থাৎ অঙ্কের হিসেবে না-হলেও পরিস্থিতি প্রায় একই।

সে-দিক থেকে কলকাতা এখনও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ দিন কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। কিন্তু গুমোট আবহাওয়া ও বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প নাকাল করছে। ভরদুপুরে ঘরে ফ্যানের তলায় বসেও কুলকুল করে ঘামতে হচ্ছে। পথেঘাটে বেরিয়ে শরীরে জলের অভাব অনুভব করেছেন অনেকে।

হাওয়া অফিসের খবর, নিকোবর দ্বীপে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। অনুকূল পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা গোটা আন্দামানে ছড়িয়ে পড়বে। তবে আবহবিদেরা বলছেন, এতে বাঙালির আনন্দের কিছু নেই। কারণ, বর্ষার ওই শাখাটি গাঙ্গেয় বাংলায় আসে না। কেরল দিয়ে বর্ষার যে-শাখাটি মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকে, সেটাই ধীরে ধীরে এ রাজ্যে আসে। সেই বর্ষা কবে আসবে?

মৌসম ভবনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী কেরলে বর্ষা ঢোকার কথা ১ জুন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৮ জুন গাঙ্গেয় বঙ্গে বর্ষা উপস্থিত হয়। কিন্তু এ বার বর্ষা এক্সপ্রেস লেট করবে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহবিজ্ঞানীরা। মৌসম ভবন সূত্রের খবর, এ বার কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে ৬ জুন নাগাদ। পরিস্থিতি অনুযায়ী এগোবে। তাই বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তা হলে বাঙালির কপালে কী লেখা রয়েছে?

সঞ্জীববাবু জানান, আপাতত অস্বস্তিকর গরম চলবে। সন্ধ্যার দিকে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

Summer Humidity Loo Weather
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy