নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত অসম। —ফাইল চিত্র
অশান্তি কিছুটা কমেছে। তবে উদ্বেগ কাটছে না শান্তিনিকেতনে থাকা অসমের বাসিন্দাদের।
নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয় অসমের নানা জায়গায়। গুয়াহাটি সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি হয় কার্ফু, বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। শান্তিনিকেতনে থাকা অসমের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সোমবার অসমে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার কথা থাকলেও অশান্তির কথা মাথায় রেখে সোমবারও অসমের বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার থেকে শান্তিনিকেতনে বসবাসকারী অসমের মানুষজন তাঁদের পরিবার-পরিজনেদের সঙ্গে তেমন ভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এর জেরে গভীর উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনে অসমের প্রায় ১০০জন বাসিন্দা বসবাস করেন। এর মধ্যে কেউ কর্মসূত্রে অসম থেকে শান্তিনিকেতনে এসে রয়েছেন। কেউ আবার শিক্ষার্থী হিসেবে অসম থেকে শান্তিনিকেতনে এসেছেন। সকলেরই পরিবার পরিজনেরা রয়েছেন অসমের বিভিন্ন জায়গায়। অশান্তির জেরে অসমগামী বেশকিছু দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই যোগাযোগে সমস্যা তো বটেই, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁরা এই মুহূর্তে অসম যেতেও পারছেন না। অসমের বাসিন্দা পূজা দাস বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারের লোকজন কেমন অবস্থায় রয়েছেন, কীভাবে রয়েছেন তা ভালভাবে জানতে পারছি না। যার কারণে রীতিমতো উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে।’’
বড়দিনের ছুটিতে কয়েকজনের অসমে নিজের বাড়ি যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ছুটিতেও পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারবেন না বলেই জানাচ্ছেন। অসমের বাসিন্দা বেদান্ত বরা বলেন, ‘‘ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে খুব সমস্যা হচ্ছে। এ বার বড় দিনের ছুটিতে অসম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই আশা ব্যর্থ হতে চলেছে। পরিবারের লোকেদের খোঁজ না পাওয়ায় এখন উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।’’ অসমের আরেক বাসিন্দা নীলোৎপল বড়া বলেন, ‘‘এই অবস্থায় বাড়ি কী ভাবে যাব বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy