Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: সরকারে নয়, মানুষ আমাদের দায়িত্বশীল বিরোধী হিসেবে দেখতে চান: দিলীপ

দিলীপ বলেন, ২০০ আসনের জন্য এ বার কোমর বেঁধে লড়েছিল বিজেপি। অর্ধেক পেয়েছে। আগামী দিনে শাসনও প্রতিষ্ঠা করবে বাংলায়।

মঙ্গলবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে বক্তৃতা করছেন দিলীপ।

মঙ্গলবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে বক্তৃতা করছেন দিলীপ। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৪:৫০
Share: Save:

লক্ষ্য থেকে অনেক দূরেই থামতে হয়েছে। তা নিয়ে দলের অন্দরে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা চলছেই। তবে বাংলার মানুষের রায়ই মেনে দল চলবে বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, মানুষ বিধানসভায় বিরোধী দল করে পাঠিয়েছেন। তাই সরকার গড়তে না পারলেও, মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

মঙ্গলবার বিজেপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠকে বক্তৃতা করেন দিলীপ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। সেখানেই নির্বাচন এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আমাদের সরকারে নয়, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসেবে দেখতে চান। তাই বিধানসভায় বড় দল করে পাঠিয়েছেন। নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব, বিধানসভার অন্দরেও, বাইরেও। কোথাও কোনও খামতি হবে না। আর এটা জানে বলেই আমাদের সাধারণ স্তরের কর্মীদের অত্যাচার করছে তৃণমূল।’’

প্রথমে করোনা এবং তার পর নির্বাচনের জেরে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠক আটকে ছিল। তার পর রাজ্য নেতাদের একত্রিত করে এই প্রথম ভোটের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গেল দিলীপকে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সরকার গড়তে বিরাট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম আমরা। ২০০ আসনের লক্ষ্য ছিল। তার আগে লোকসভা নির্বাচনে ২১ আসনের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল। সে বার ১৮টি আসন পেয়েছিলাম।’’

দিলীপ আরও বলেন, ‘‘২০০ আসনের জন্য এ বার কোমর বেঁধে লড়েছিলাম। অর্ধেকে পৌঁছেছি। কিন্তু মানুষ আমাদের সরকারে চাননি। গত কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দলের কর্মীরা আমাদের এই জায়গায় এনেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দিনে বিজেপি-কে বাংলার শাসনক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করবেন তাঁরা।’’

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ইতিমধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সঙ্ঘাত আরও তীব্র হয়েছে রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার দিলীপের মুখেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠে আসে। তাঁর দাবি, ভোটগণনা শেষ হওয়া আগে থেকেই হিংসা শুরু হয় রাজ্যে, যা হিংসার আগুনে ৩০-৪০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা কাশ্মীরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছএ ১১ হাজার হিংসার ঘটনা নথিবদ্ধ রয়েছে বলে জানান দিলীপ। তাঁর অভিযোগ, হিসংরা কারণে ৮০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া ছিলেন, এখন যা-ও বা ফিরছেন হিংসা হয়নি বলে তাঁদের সাদা কাগজে লিখিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE