Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Shyamaprasad Mukherjee

Suvendu Adhikari: শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ

জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিবস উপলক্ষে রাজ্য বিজেপির দফতরের বাইরে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ ০৬:১৬
Share: Save:

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল কলকাতায়। বুধবার সকালে ভবানীপুরে শ্যামাপ্রসাদের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানতে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। ‘গদ্দার’ স্লোগান ওঠে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “ওখানে তৃণমূলের কেউ ছিলেন না। হিন্দু মহাসভার লোকজন ওঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এখানে আমাদের কী করার আছে?”

জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিবস উপলক্ষে রাজ্য বিজেপির দফতরের বাইরে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। শ্রদ্ধা জানানো হয় রেড রোডে তাঁর মূর্তিতেও। বিকেলে এই উপলক্ষে শ্যামাপ্রসাদ যাত্রার আয়োজন করে তারা। মিছিলটি গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা প্রমুখ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি।

বিধানসভাতেও এ দিন শ্যামাপ্রসাদ জন্মদিবস পালন করা হয়। যদিও সেই অনুষ্ঠানে কোনও বিজেপি বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। পরে বিরোধী দলনেতা-সহ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক আলাদা করে শ্যামাপ্রসাদের ছবিতে মাল্যদান করেন। এই নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁরা যে শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে এত হইচই করছেন, অথচ বিধানসভার অনুষ্ঠানে তাঁরা ছিলেন না। আগে এমনটা কখনও হয়নি। আগেও এই অনুষ্ঠান হয়েছে। সেই সময় যাঁরা বিরোধী দলের বিধায়ক ছিলেন তাঁরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন।’’ পাল্টা শুভেন্দু বলেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদকে কী করে শ্রদ্ধা জানাতে হয়, তা ওদের থেকে শিখব না।’’

এ দিকে শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিবস পালন ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপালও। এদিন রেড রোডের শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মালা দিয়ে জগদীপ ধনখড় বলেন, “রাজ্যে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি কায়েম হয়েছে। গণতন্ত্রের ন্যূনতম পরিসর অবশিষ্ট নেই। এর বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ খুলতে হবে এর বিরুদ্ধে।” রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যপাল রোজ কিছু না কিছু বলছেন। তাঁর কথা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যই নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE