অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) শংসাপত্র বাতিল মামলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে! এমন অভিযোগ তুলে আবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। মামলাকারীর বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ না মেনেই কলেজে ভর্তির পোর্টাল চলছে। ওই অনলাইন পোর্টালে এখনও ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি নিয়ে আলাদা ভাবে ভর্তির কথা বলা হয়েছে!
মামলাকারীর আইনজীবী কলেজে ভর্তির পোর্টালে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয় তাঁর পক্ষ থেকে। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, আদালতের নির্দেশমতো ২০১০ সালের আগে ওবিসি শংসাপত্রে কোনও শ্রেণিবিন্যাস ছিল না। তবে কলেজে ভর্তির পোর্টালে এখনও ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি আলাদা ভাবে উল্লেখ রয়েছে। আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার আবার ওই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে হবে। তার পরেই শুনানি নিয়ে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ এখনই মামলা গ্রহণ করছে না হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ওবিসি সংক্রান্ত রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর ইতিমধ্যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশের ফলে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি তালিকার বৈধতা নেই। ২০১০ সালের আগে যে ৬৬টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, সেটিই বৈধ।
২০১০ সালের আগে মোট ৬৬টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি বলে ঘোষণা করা হয়। অমুসলিম জনগোষ্ঠী ছিল ৫৪টি এবং মুসলিম ১২টি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে যাদের ওবিসি-তে নথিভুক্ত করা হয়েছে, তাদের শংসাপত্র বাতিল হয়েছে। তবে শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, ওবিসি মামলার জন্য কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে নিয়োগপ্রক্রিয়া, সব আটকে রয়েছে। আদালত জানায়, এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।