Advertisement
E-Paper

যত্রতত্র থুতু-পিক ফেললে জরিমানা

উদ্বোধনের পরের দিনই দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকে পিক ফেলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে এ বার কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে চাইছে তাঁর সরকার। প্রয়োজনে চালু আইন সংশোধন করা হবে। এলাকা নোংরা করলে আইনের সাহায্যেই দোষীর জরিমানা করবে প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৭
বি বা দী বাগের একটি অফিসের সিঁড়িতেও লেগেছে পান-গুটখার রং। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

বি বা দী বাগের একটি অফিসের সিঁড়িতেও লেগেছে পান-গুটখার রং। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

উদ্বোধনের পরের দিনই দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকে পিক ফেলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে এ বার কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে চাইছে তাঁর সরকার। প্রয়োজনে চালু আইন সংশোধন করা হবে। এলাকা নোংরা করলে আইনের সাহায্যেই দোষীর জরিমানা করবে প্রশাসন।

মঙ্গলবার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কমিটির নেতৃত্বে মুখ্যসচিব মলয় দে ছাড়াও থাকছেন স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার সিপি, কেএমডিএ-র আধিকারিক প্রমুখ। পরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘অসচেতন অবস্থায় অথবা ইচ্ছা করে যত্রতত্র থুতু, পানের পিক ফেলে এলাকা নোংরা করা হচ্ছে। ‘আমার বাংলা, আমার কলকাতা আমাকেই পরিষ্কার রাখতে হবে’— এই মর্মে প্রচার চলবে। আইন দেখে জরিমানার রূপরেখা তৈরি করবে কমিটি।’’

দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পরের দিনই সেখানে পিক ফেলেছিলেন এক ব্যক্তি। তার পরের দিন ফের এক জন থুতু ফেলায় তাঁকে দিয়েই সেটা ধোয়ানো হয়। ধূমপান করার অভিযোগে স্কাইওয়াকের নিরাপত্তারক্ষীরা দু’জনকে ধরে দক্ষিণেশ্বর ফাঁড়িতে নিয়ে যান। পুরো বৃত্তান্ত জেনে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকেই পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে প্রশাসন।

এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, এলাকায় কতগুলি পুকুর বা জলাশয় কী অবস্থায় রয়েছে, তার হিসেব রাখবে সংশ্লিষ্ট থানা। প্রয়োজনে তা সাজানোর প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাবে পুলিশই। অনেক সময়েই সরকারি হাসপাতালে থাকেন রোগীদের আত্মীয়স্বজন। তাঁরা যাতে হাসপাতাল-চত্বর নোংরা না-করেন, তা দেখার জন্য পূর্ত দফতরকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ১৪০ কোটির গুটখায় রঙিন হচ্ছে শহর

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটিকে। কী ভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে, পরবর্তী পর্যায়ে তার ব্যবস্থাপনার কী হবে, সেই বিষয়েও ভাবনাচিন্তার দায়িত্ব বর্তেছে এ দিন গড়া কমিটির উপরে।

Spit Skywalk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy