জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় সোমবার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সমাজমাধ্যমে বাংলায় তিনি লিখেছেন (এক্স হ্যান্ডলে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী), ‘‘যে ভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা—যাঁদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করা পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে।
এর পরে ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী হিংসার জন্য সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিশানা করেছেন। সঙ্গে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দুর্যোগ-বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তাতে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন। শঙ্করও প্রহৃত হন। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। তার পর বিকেল পেরিয়ে রাত গড়ালেও অধরা অভিযুক্তেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও কাউকেই আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। সরাসরি এই ঘটনার উল্লেখ না-করলেও, সকলকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই কঠিন সময়েও আমাদের মনে রাখতে হবে একতা ও ধৈর্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’’