সিংলার জঙ্গলে শুক্রবার ভোরের সংঘর্ষে সময় বিমল গুরুঙ্গের অনুগতদের কয়েকজনও আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁরা জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছেন। সিকিম থেকে ডাক্তারদের নিয়ে এসে তাঁদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে বলে পুলিশের অনুমান। তবে
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আহতদের সিকিমেরই কোনও গ্রামে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেখানেই তাঁদের গোপনে চিকিৎসা চলছে। পুলিশ তার খোঁজ করছে।
মঙ্গলবার সকালে কালিম্পঙে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ বলেন, ‘‘কিছু লোক পাহাড়ে গোলমাল করতে চাইছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর চলছে। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে। এ দিনই, সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিককে খুনের অভিযোগে বিমল গুরুঙ্গ, প্রকাশ গুরুঙ্গ, প্রবীন সুব্বা, দীপেন মালে, অমৃত ইয়নজন-সহ ২০ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সিংলার যে জঙ্গলে সে দিন অভিযানে অমিতাভর মৃত্যু হয়, সেখানে ছোট রঙ্গিত লাগোয়া এলাকায় রক্তের দাগ দেখেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, সিংলার জঙ্গল ক্যাম্পে বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র জিএলপি কর্মী ছিলেন। যাদের মধ্যে অন্তত ১০ জন দূর থেকে গুলি করতে দক্ষ। নদীর ধারে অমিতাভ গুলিবিদ্ধ হতেই দলটি জঙ্গলের আরও ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারপরে কিছু অস্ত্র ফেলে রেখেই তারা নদী পার হয়ে সিকিমের দিকেই পালিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদি।