Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

গাঁজা-গাছ নাকি! বিধায়ক বলতেই ওপড়াল পুলিশ

সোমবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল ২ অঞ্চলের দুলেপাড়ার বাসিন্দা শান্তি সাঁতরার বাড়ির ওই গাছ পুলিশ সমূলে উপড়ে দেয়।

গাঁজা গাছ কাটছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

গাঁজা গাছ কাটছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৩
Share: Save:

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে পাড়ায় ঘুরছিলেন বিধায়ক। চোখ পড়ল গৃহস্থবাড়ির উঠোনের ঝাড়াল গাছটার উপরে। ঘনাল সন্দেহ, এ যে সে গাছ নয়! ফোন পেয়ে এল পুলিশ। জানা গেল, বাড়ির তুলসি মঞ্চের পাশে তরতরিয়ে বেড়ে চলা গাছটি ‘গঞ্জিকা’, থুড়ি গাঁজার।

সোমবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল ২ অঞ্চলের দুলেপাড়ার বাসিন্দা শান্তি সাঁতরার বাড়ির ওই গাছ পুলিশ সমূলে উপড়ে দেয়। পড়শিদের দাবি, আসতে-যেতে নজরে পড়লেও গাছটি চিনতেন না কেউই। পড়শি পিন্টু ঘোষ বলেন, ‘‘বাড়ির উল্টো দিকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পাশে রোজই দেখতাম গাছটা। চিনতাম না। সকালে পুলিশ, বিধায়ক এসে গাছ কাটার সময় জানতে পারলাম সব।’’ এলাকায় আগে কখনও গাঁজা গাছ দেখা যায়নি বলেও তাঁর দাবি।

বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক অবশ্য জানাচ্ছেন, এক বার দেখেই চিনেছিলেন গাছটা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি গ্রামবাংলার ছেলে। গাছটা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। তা ছাড়া, কাগজে, টিভিতেও গাঁজা গাছের ছবি দেখেছি।’’ সঙ্গে জুড়ছেন, ‘‘সবার চোখের সামনে এত বড় গাঁজা গাছ কী করে হল, সেটাই ভাবার।’’ পুলিশের দাবি, আশপাশে এ ধরনের গাছ আছে কি না দেখা হচ্ছে। সাবধান করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদেরও।

ওই বাড়ির মালিক বছর পঁয়ষট্টির শান্তিবাবুর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ফুলের গাছ, বাড়ির টালির ছাদে লাউয়ের ডগার সঙ্গে আপনা থেকেই বাড়ছিল ওই গাছটি। বাড়ির কেউ সেটি লাগাননি এবং চিনতেন না বলে তাঁর দাবি। দু’দিনের কর্মসূচিতে বড়শুলের নানা এলাকায় ঘোরেন বিধায়ক। রবিবার রাতে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে রাত কাটানোর পরে, এ দিন সকালে তাঁতখণ্ড, দুলেপাড়া এলাকায় খোঁজখবর করতে গিয়েই তাঁর চোখ পড়ে গাঁজা-গাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman Weed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE