ছবি: সংগৃহীত।
খড়্গপুর আইআইটি-র তফসিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কটূক্তির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। এ বার অভিযুক্ত অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস-এর শীর্ষ আধিকারিকেরাও। যদিও মামলার বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন আইআইটি খড়্গপুরের রেজিস্ট্রার তমাল নাথ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অধ্যাপিকা সীমা সিংহের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে মামলা রুজু হয়েছে। সীমার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩(১) (এক্স) এসসি অ্যান্ড এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-র আওতায় ওই মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে অনলাইন ক্লাশ চলাকালীন তফসিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে সীমার বিরুদ্ধে। ওই অনলাইন ক্লাসের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর পর ১০ এপ্রিল সীমাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইআইটি কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এ নিয়ে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে অন্ধকারে বলে দাবি করেছেন আইআইটি খড়্গপুরের রেজিস্ট্রার তমাল নাথ। তিনি বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই অধ্যাপিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনা সম্পর্কে যা যা জানতে চেয়েছিল, তা-ই জানানো হয়েছে। তবে পুলিশ কোনও মামলা করেছে কি না, তা জানা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy