Advertisement
E-Paper

Trafficking: পাচার হওয়া দুই নাবালিকা-সহ পাঁচ জনকে দিল্লি থেকে উদ্ধার, ধৃত এক পাচারকারী

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ অক্টোবর এক গৃহবধূ  ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ করেন তাঁকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দিল্লিতে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২১ ০০:১৭
পাচার হওয়া নাবালিকা এবং তরুণীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

পাচার হওয়া নাবালিকা এবং তরুণীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে দুই নাবালিকা এবং তিন তরুণীকে পাচার করা হয়েছিল ভিন্‌রাজ্যে। তবে সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানার পুলিশের তৎপরতায় দিল্লির গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার হল পাঁচ জনই। হাতেনাতে পাকড়াও হয় এক পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া পাঁচ জনই ঢোলাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। দিল্লির সারিতা বিহার থানার মদনপুর খাদর এলাকা থেকে ধরা পড়ে অভিযুক্ত সঞ্জু হালদার। কলকাতার লেক থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। রবিবার ধৃতকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অন্য পাচারকারী নুর আলম পলাতক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর এক গৃহবধূ ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ করেন তাঁকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দিল্লিতে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখান থেকে পালিয়ে চলে আসেন গ্রামে। গৃহবধূর অভিযোগ, পাচারের ঘটনায় জড়িত জিন্নাতুন বিবি, স্বামী বাবলু হোসেন মোল্লা ও নুর আলম নামে তিন জন। অভিযুক্ত দম্পতি ঢোলাহাটের শঙ্করপুরের বাসিন্দা। নুর আলমের আসল বাড়ি বর্ধমানে।

অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নেমে ১৮ অক্টোবর জিন্নাতুন এবং বাবলুকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি ধৃত দম্পতিকে জেরা করে তারা জানতে পারে ঢোলাহাট থেকে পাঁচ জনকে দিল্লিতে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এর পরই সাব-ইনস্পেক্টর শুভেন্দু দাসের নেতৃত্বে একটি দল জিন্নাতুনকে নিয়ে দিল্লিতে রওনা দেয়। দিল্লির সারিতা বিহার থানা এবং শক্তি বাহিনী-র সাহায্য নেয় তারা। তার পরই শনিবার গোপন ডেরাতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ পাঁচ জনকে উদ্ধার করে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধের সুযোগ নিয়ে মাসখানেক আগে কাজের টোপ দিয়ে পাঁচ জনকে দিল্লিতে নিয়ে আসে জিন্নাতুন বিবি। সেখানে মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই পাঁচ জনকে পাচার করে দেওয়া হয়। প্রথমে পরিচারিকার কাজ এবং পরে দেহ ব্যবসায় নামানোর ছক ছিল অভিযুক্তদের। জিন্নাতুন নানা কাজের লোভ দেখিয়ে গ্রামের মেয়েদের নিয়ে যেত আর এক অভিযুক্ত নুর আলমের কাছে। এই কাজে তাকে সাহায্য করত বাবলু। আর নুর আলমের সহযোগী ছিল সঞ্জু হালদার। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিল সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের জেরা করে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তার নাম জানার চেষ্টা চলছে।”

Trafficking Dholahat Delhi Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy