ছিল বাগ্যুদ্ধ। তৃণমূল এবং বিজেপির দ্বন্দ্ব এ বার গড়াল থানা-আদালতে। তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের অভিযোগের জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আলিপুর থানায় তলব করল পুলিশ। বাবুল আবার পাল্টা মানহানির মামলা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও তাপস পাল এবং মহুয়ার বিরুদ্ধে।
৪ জানুয়ারি আলিপুর থানায় বাবুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিতর্কে তাঁর সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন বাবুল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের মামলা করে। বাবুলকে মঙ্গলবার নোটিস পাঠিয়ে পুলিশ জানায়, তাঁকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আলিপুর থানায় হাজির হতে হবে। বাবুল অবশ্য পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে কলকাতার বাইরে থাকায় তিনি থানায় যেতে পারবেন না। তবে কলকাতায় তিনি কবে থাকবেন, তা শীঘ্রই জানাবেন এবং সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে পুলিশকে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
এ দিনই আবার সৌগতবাবু ও মহুয়ার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা এবং তাপসের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন বাবুল। তাঁরা বাবুলের বিরুদ্ধে রোজ ভ্যালির থেকে টাকা নেওয়া এবং টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে সৌগতবাবু এবং তাপসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাবুল। পরে সেখানে মহুয়ার নামও জোড়া হয়েছে।
সৌগতবাবু অবশ্য এ দিনও বলেন, ‘‘বাবুল নগদে টাকা নিতে অভ্যস্ত। আমিই তো ওঁকে একটি অনুষ্ঠানের জন্য সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। বাবুলের জন্মের আগে থেকে রাজনীতি করছি। এ সব মামলায় ভয় পাই না।’’ যার জবাবে বাবুল বলেন, ‘‘সেই অনুষ্ঠানে ২ লক্ষ টাকা নগদে দেওয়া হয়েছিল। গীতিকার জাভেদ আখতারের মাধ্যমে আমাকে জানানো হয়েছিল, বাকি টাকা ওরা দিতে পারবে না।’’
পাশাপাশি, এ দিন এই দুই শিবির থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেমন— বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহকে হেনস্থার অভিযোগ ই মেল মারফত জমা পড়েছে উত্তরপাড়া থানায়। আবার রাহুলবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এফআইআর করেছেন যাদবপুর থানায়। অন্য দিকে, শ্রীরামপুর থানায় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy