প্রশিক্ষণ চলতে চলতেই এ বার থেকে কাজে যোগদান করবেন পুলিশকর্মীরা। রাজ্য সরকারের পুলিশে নয়া এই নীতির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই পুলিশে ১২ হাজার পুলিশ নিয়োগের ঘোষণার পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মমতা।
তিনি বলেন, ‘‘সিকিউরিটি অডিট করে আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এই তো ১২ হাজার পুলিশে নিয়োগ আটকে ছিল। এখনও সেই অর্ডার আসেনি, সম্ভবত সোমবার সেই অর্ডারটা আসবে। আগে যদি এই নিয়োগগুলো হয়ে যেত, তা হলে আমরা সব নিরাপত্তাই দিতে পারতাম। পুলিশে রিক্রুটমেন্ট করতে একটু টাইম লাগে। কিন্তু আমি বলেছি বেশি টাইম না নিয়ে নিয়োগ করতে।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যারা পিডিজি (পোস্ট গ্রাজুয়েট ডক্টর) করে মনে করুন, এমএস করে, এমডি করে। আমি তাদের বলেছি, তারা পড়াশুনোও করবে। আবার চিকিৎসাও করবে। সে রকম পুলিশের ডিউটিও করবে, এই কাজগুলো করলে তিন মাস, ছ’মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার দরকার নেই। কারণ আমার অত ম্যানপাওয়ার নেই। আমাদের ম্যানপাওয়ার সব জায়গায় দিতে হয়।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রে সিভিক ভালন্টিয়ারদের দিয়ে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। সেই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলির নিরাপত্তার জন্য একশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল আবার দু’সপ্তাহের মধ্যেই সব সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলিতে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার কথা বলেছেন। আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে আবারও আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানালেন। এক দিকে যেমন নতুন পুলিশ নিয়োগের কথা জানালেন। সঙ্গে রাজ্য সরকার যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে, তাও তুলে ধরা হয়েছে। আবার বেশি সংখ্যায় পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণে থাকা পুলিশকর্মীদের ব্যবহারের কথা জানিয়ে রাখলেন।