Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal Assembly Election 2021

নিভৃতবাসীর কাছে গিয়ে ভোট, সমীক্ষা

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আগেই স্থির হয়েছে, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সি এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম যে-সব ভোটার বাড়িতে থেকে ভোট দিতে চাইবেন, তাঁদের কাছে গিয়ে ভোট নিয়ে আসবেন ভোটকর্মীরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:২৮
Share: Save:

করোনা-কালে ভোট। সতর্ক থাকতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকেও। তাই এ বারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আলাদা প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন-কর্তারা। বয়স্ক এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষদের পাশাপাশি এ বার কোভিড-আক্রান্ত বা ওই রোগের উপসর্গযুক্ত যে-সব ভোটার গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন, তাঁদের কাছে গিয়েও ভোট নেওয়ার কথা। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের চিহ্নিত করতে পৃথক সমীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রশাসনগুলিকে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আগেই স্থির হয়েছে, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সি এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম যে-সব ভোটার বাড়িতে থেকে ভোট দিতে চাইবেন, তাঁদের কাছে গিয়ে ভোট নিয়ে আসবেন ভোটকর্মীরা। এ বার সেই তালিকায় আনা হয়েছে করোনায় আক্রান্ত বা তার উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদেরও। জেলা-কর্তারা জানাচ্ছেন, এই ধরনের কত ভোটার আছেন, তার জন্য এলাকা-ভিত্তিক সমীক্ষা চালানো হবে। স্থানীয় স্তরের ভোটকর্মীরাই ওই ভোটারদের চিহ্নিত করবেন। সেই তালিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের ইচ্ছা বুঝে তাঁদের দিয়ে ১২-ডি ফর্ম পূরণ করানো হবে। তার অর্থ,

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাড়িতে থেকে ভোটদানে সম্মতি দেবেন। তার ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার শেষ দিন থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের এক দিন আগে পর্যন্ত ১৩-এ ফর্মের মাধ্যমে ওই ভোটারদের ভোট নেওয়া হবে। ভোটদানের পরে ফর্মটি ‘সিল’ করবেন ভোটকর্মীরা। এই পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়ো ক্যামেরায় বন্দি করা হবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজে যুক্ত কর্মীদের পিপিই বা বর্মবস্ত্র-সহ কোভিড-সুরক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম দেওয়া হবে।

এ বার ভোটকেন্দ্র-পিছু সর্বাধিক ভোটার-সংখ্যা ১০৫০-এ বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে রাজ্যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা কমবেশি ২৮ হাজার বাড়তে পারে। এখন আছে ৭৮ হাজারের কিছু বেশি ভোটকেন্দ্র। শারীরিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলার তাগিদে অতিরিক্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরির সময়েও উপযুক্ত স্থান নির্বাচনে জোর দিয়েছে কমিশন। ফলে সরু গলিতে ছোট পরিসরের ভোটকেন্দ্রকে এ বার মান্যতা না-ও দিতে পারেন কমিশন-কর্তারা। ছড়ানো ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ করে ভোট নেওয়ার পথে হাঁটতে পারে কমিশন। স্থির হয়েছে, ভোটারদের প্রত্যেককে এক হাতে পরার গ্লাভস দেওয়া হবে। অন্য হাত খালি থাকবে কালি লাগানোর জন্য। থাকবে স্যানিটাইজ়ার বা জীবাণুনাশকের ব্যবস্থাও। ভোট দিয়ে ভোটারেরা গ্লাভসটি নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে দিয়ে যাবেন। ভোটকর্মীদের প্রত্যেককে দু’হাতের গ্লাভস, ফেস-শিল্ড দেওয়া হবে। নিয়মিত জীবাণুনাশের ব্যবস্থা রাখার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে বিশেষ ভাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE