E-Paper

মরণোত্তর অঙ্গদান বালকের, যকৃৎ পেল বালিকা

ছেলের মরণোত্তর অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বাবা-মা। সেই মতো কলকাতার ওই বালকের যকৃৎ উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল মুম্বইয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ০৯:৩৩
মরণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী থাকল সিএমআরআই হাসপাতাল।

মরণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী থাকল সিএমআরআই হাসপাতাল। —প্রতীকী চিত্র।

বারো বছরের ছেলেকে কিডনি দিয়েছিলেন মা। প্রতিস্থাপনের পরে ওই বালকের শারীরিক অবস্থা মোটের উপরে ভালই ছিল। কিন্তু আচমকাই তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, ব্রেন ডেথ হয়েছে ওই বালকের। এর পরে ছেলের মরণোত্তর অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বাবা-মা। সেই মতো কলকাতার ওই বালকের যকৃৎ উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল মুম্বইয়ে। আট বছরের এক বালিকার শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এমনই মরণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী থাকল সিএমআরআই হাসপাতাল। আলিপুরের বাসিন্দা ওই বালকের নাম উমঙ্গ গালাডা। ছোট বয়সেই তার কিডনির অসুখ
ধরা পড়েছিল। ডায়ালিসিস দিয়েও পরিস্থিতি ঠিক না হওয়ায় চিকিৎসকেরা কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। তার মা জ্যোতি গালাডা কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২৮ মার্চ একবালপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় উমঙ্গ ও তার মা
জ্যোতিকে। মায়ের কিডনি সফল ভাবে ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অস্ত্রোপচারের পরে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে ওই বালকের শারীরিক অবস্থার আচমকাই অবনতি ঘটে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার পর থেকে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় পরে হৃৎপিণ্ড সচল হলেও ক্রমশ মস্তিষ্ক অকেজো হতে দেখে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, উমঙ্গের ব্রেন ডেথ হতে চলেছে। মঙ্গলবার তার ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পরেই উমঙ্গের বাবা-মা মরণোত্তর অঙ্গদানের বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করলে তা রিজিয়োনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন (রোটো)-কে জানানো হয়।

সদ্য কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া ওই বালকের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ায়, তার কিডনি তো বটেই, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসও প্রতিস্থাপন-যোগ্য ছিল না। শুধু যকৃৎ প্রতিস্থাপন-যোগ্য ছিল। রোটোর মাধ্যমে মুম্বইয়ে গ্রহীতার খোঁজ মেলে। যকৃৎ
সংগ্রহ করে এ দিন বিকেলেই তা মুম্বইয়ের গ্লেনিগেল্‌স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অঙ্গ বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে উমঙ্গকে মরণোত্তর ‘গার্ড অব অনার’ দেন একবালপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Organ Donation organs

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy