স্নাতক স্তরে ভর্তি নিয়ে কিছু দিন আগেই এক দফা বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়ে গিয়েছে প্রেসিডেন্সিতে। আবার কি ঘনাচ্ছে আন্দোলনের মেঘ?
প্রশ্নটা উঠছে ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা এবং সেই সংক্রান্ত কিছু নিয়ম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, অধিকার অর্জন করতে হলে আন্দোলন তো করতেই হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ক্লাসে হাজিরার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অবস্থান বরাবরই কড়া। অতীতের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসে কোনও পড়ুয়ার ৭৫ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হত না। তবে পরের সিমেস্টারে বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি দিয়ে বকেয়া পরীক্ষায় পাশ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নতুন নিয়মে সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে বহু পড়ুয়ার আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই আজ, সোমবার কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন নিয়ম প্রত্যাহার অর্থাৎ পুরনো নিয়মে ফেরার দাবি জানাবেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই-কর্মী শুভজিৎ সরকার জানান, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলে ভাল। নইলে আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই।
স্নাতকে ভর্তিকে ঘিরে সাম্প্রতিক আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ কিছু দাবি মেনে নেন। মেধা-তালিকা প্রকাশ এবং কাউন্সেলিং ফি-কে কেন্দ্র করে অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন পড়ুয়ারা। পরে কর্তৃপক্ষ মেধা-তালিকা প্রকাশ করে আর দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পড়ুয়া এবং সুযোগ পাওয়ার অন্য অধিকারীদের ফি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু হাজিরা ও সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা সংক্রান্ত নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে কী হবে? রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির নিয়ম প্রণয়ন এবং তা বলবৎ করার অধিকার আছে। তবে দেখতে হয়, সেগুলির ফলে পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার হচ্ছে কি না। এ ক্ষেত্রেও তা দেখা হবে। এসএফআই-কর্মী শুভজিৎ জানান, পড়ুয়ারা এই নিয়ম পরিবর্তনের কথা জানতেন না। তাই অবিলম্বে পুরনো নিয়মে ফিরতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy