E-Paper

ঘুরপথে চাকরির পরামর্শ দিতে বৈঠক কাফেটেরিয়ায়

তদন্তকারীদের দাবি, দু’তরফেই ঘুরপথে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এক দিকে মধ্যস্থতাকারী বা মিডলম্যান মারফত এবং মানিক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক আধিকারিকের সহায়তায় নিয়োগ-দুর্নীতি হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৫
CBI

—প্রতীকী ছবি।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এ বার সিবিআইয়ের নজরে গড়িয়াহাট এলাকার একটি কাফেটেরিয়া। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই দুর্নীতিতে ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির গড়িয়াহাটের অফিস থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত ওই কাফেটেরিয়ায় নিয়মিত সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক অধিকারিকের। সিবিআই আরও দাবি করেছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বেশ কয়েক বার এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা ও আধিকারিকদের সঙ্গে ওই কাফেটেরিয়ায় বৈঠক করেছিলেন বলে তাদের হাতে তথ্যপ্রমাণ এসেছে। প্রসঙ্গত, এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। তবে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, ওই সংস্থার দুই আধিকারিক কৌশিক মাজি ও পার্থ সেন সিবিআইয়ের মামলায় হেফাজতে রয়েছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস এবং এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির গড়িয়াহাট ও সল্টলেকের অফিস এড়িয়ে কেন ওই কাফেটেরিয়ায় বৈঠক করা হত? সিবিআইয়ের আধিকারিকদের অনুমান, বাঁকা পথে অযোগ্যদের চাকরির ব্যবস্থা সংক্রান্ত নানাবিধ পরামর্শ করার জ‌ন্য গড়িয়াহাট এলাকার ওই কাফেটেরিয়াটি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসা ঠেকানোর জন্যই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিস এড়িয়ে ওই বৈঠক হত। সংশ্লিষ্ট কাফেটেরিয়ায় মিডলম্যান অযোগ্য প্রার্থীদের আনাগোনা ছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, দু’তরফেই ঘুরপথে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এক দিকে মধ্যস্থতাকারী বা মিডলম্যান মারফত এবং মানিক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক আধিকারিকের সহায়তায় নিয়োগ-দুর্নীতি হয়েছিল। অন্য দিকে, বাঁকা পথে টেট ফেল প্রার্থীদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে তাঁদের চাকরির বন্দোবস্ত করেছিলেন এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা ও আধিকারিকেরা।

সিবিআই সূত্রের দাবি, সম্প্রতি কাফেটেরিয়াটি চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৬-র পর থেকে সেখানে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন করে বৈঠক হত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তবে,
সেই তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সিবিআই জানিয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ে ওই কাফেটেরিয়ার মালিক ও কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সে ক্ষেত্রে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও মিডলম্যানের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Recruitment Case CBI Gariahat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy